সময় হেলে গ্যাছে দিগন্তে।
রেখে গ্যাছে কিছু বিয়োগাত্মক প্রহর।
ঠিক য্যানো,
স্কুলের দেয়ালিকায় ঝুলানো কারুর মতো
ঝুলছে মস্তিষ্কের পিঠে।
নিদারুণ এক অতীত টুকরো হাসির অসংখ্য খণ্ড-
ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরা;
পায়ের পাতায় নরম চোট;
মায়ের বকুনি;
পড়তে বসা;
ঘুড়ির ওপর আকাশ উড়ানো;
মার্বেল টোকা;
বয়োজ্যেষ্ঠ দ্যাখলে দান তুলে নেয়া;
ভো দৌড় ;
পুকুরে ঝাপ;
বাশের ভেলায় ভেসে চলা;
ডুব সাতার;
এই-সেই কতো কি!
এখন পা থেকে আঙুল খসে পড়ে নি;
আকাশও তার অবস্থান পালটে নি;
স্কুলের বারান্দা, খেলার মাঠ সব একই আছে।
তবু, ফেরা সম্ভব নয়
শৈশবের দুরন্ত পৃষ্ঠায়।
স্কুল পালানো আনন্দ নিয়েও আর ঘরে ফেরা যাবে না।
বদলে যাওয়ার এক বিচিত্র স্বভাবে আমরা পালটে গ্যাছি।
জীবনমুখী এক স্রোত ভাসিয়ে নিয়েছে উপকূল থেকে দূরে।