আমাকে যেতে হবে...!!
শুধু এটুকু বলে,
ডান বাহুতে দু'ফুটো অশ্রু নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।
অথচ,
চাইলেই থাকা যেতো সন্ন্যাসহীন।
ঝিলের জলে পা ভিজিয়ে-
প্রথম অনুভব কোরলাম গৃহত্যাগের স্বার্থকতা।
পদ্মপাতায় জলের সংসার দ্যাখে-
পিছুটান নিয়ে বার বার তাকিয়েছি সূর্যোদয়ের পথে-
তবু ফেরা হয়নি।
যদি আমার ফেরা দ্যাখে হংসী চিনে ফ্যালে তার প্রথম প্রেমিকের ঘর!
যদি পালিয়ে যায় পরিচিত হাত ধরে!
ক্ষতি হয়ে যাবে বেচারা মালিকের।
এই-সেই কতো কিছু ভেবে আর পিছু তাকাইনি।
বিস্তীর্ণ মেঠোপথে ঘাসের বিচরণ-
আমাকে দ্যাখে উপহাস কোরে,
আগুনের সংসার!
হাফছুটিতে থাকা রোদ-
অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিতে ভিজে গ্যালো।
আর তাদের জড়তা উড়ে গ্যালো নক্ষত্রের ছায়ায়।
নদীর কিনারা ঘেষে জলের গলি-
গড়িয়ে যাচ্ছে জীবনের পথে।
আলোর সন্ধানে বেজে উঠলো
বেখেয়ালি রাখালের বাশি।
যার তরঙ্গ অতিক্রম করলো
আলোকবর্ষ পথ!
যার নিশ্বাসে ভিজলো বেলাভূমি।
পিচঢালা সড়কের দু'পাশে সস্তার চা'য়ে বহুকাল সকাল পোহাইনি
তীব্র শীতের দরুন- আধমরা শুয়ে আছি।
ভুলে থেকেছি কুয়াশার নিমন্ত্রণ!
আমাকে যেতে হবে আরো দূরে-
তেপান্তর পেরিয়ে।
যেখানে ঋতুতে কোনো পার্থক্য
দৃশ্যমান নয়।
রোদ-বৃষ্টি এক-ই সাথে-
দুলে ওঠে আহ্লাদের শরীরে।
পৃথিবীতে বহু সময় ক্ষয়ে যায়-
আমাদের বিকেলগুলো হাতিয়ে নিতে।
এখানে রাস্তাগুলো তির্যক
উপসংহারহীন এক বক্রতায় ভুগছে।
সামনে কী আছে?
অথবা পেছনে কি ফ্যালে এসেছি?
সেটা ভাবার আগে খুঁজতে হয়,
অবসর টানেল।