ওরে ও শিক্ষিত নওজোয়ান
শুধু শুধুই সারাটা দিন মান,  
কেন উদাস আছো বসে,
হাতে ঠায় ভর দিয়ে ঠেসে; তোমার নিজেরই গালটা ?
এমন এক পুরুষ হয়ে জন্মেও,  
যদি কর শুধুই মিও মিও.....
তবে নিজেকে কেমনে গড়বে,
তেমন কেইবা আছে ধরবে; তোমার সংসারের ঐ হালটা ?  
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই জীবনটাকে পাল্টা........  
পাল্টা এবার পাল্টা তোমার ঐ জীবন দৃষ্টিটাকেও পাল্টা ।

চাকরী নাই কী কোন কর্মও নাই,
দেখছ না কী তেমন কিছুই তাই ?
সেথায় ওরা করছেও কত আয়,
যেথায় সাদা সোনা ফলায়; নিয়ে তোমার বাড়ির পাশের খালটা ।
কী একটা চাকরি নেবার আশায়,
টাকা নিয়ে ঘুরো নেতার বাসায় বাসায় !    
বল কী বিদ্যা তুমি শিখলে শুনি,
ঐ টাকাটাও খাটাতে শেখনি; শুধু নষ্ট করছো সালের পর সালটা ?
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই জীবনটাকে পাল্টা........
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই তোমার ঘর সংসারটাও পাল্টা ।


শিক্ষিত হয়েছো কী শুধু চাকরি নিতে,
ঐ শিক্ষা শেখায়নি যে স্বাবলম্বী হতে !  
তাই তো এর অন্যথা কিছুই খোঁজনি,
কোন দিনও তুমি বোঝনি; পুঁজিবাদীদের দাস বানাবার চালটা ?  
ওদের মুখে ছুড়ে দে রে ঐ শিক্ষার সনদ,
নিজেই রচনা কর তোমার নিজের মসনদ ।
কর না অত্যাধুনিক সব চাষ বাস,
দেশে হচ্ছে বারো মাস; ড্রাগন-মাশরুম-খেজুর-কমলা-মাল্টা ।  
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই জীবনটাকে পাল্টা.........
পাল্টা এবার পাল্টা রে ভাই তোমার স্বদেশটাকেও পাল্টা ।


ঐ ভূমধ্য সাগরে মরতে মরতে,
বিদেশ যাও বাছা চাকর খাটতে ?
সোনার বাংলার সোনার ছেলে,
শরণার্থী সাজো স্বদেশ ফেলে; তোমার এমন সোনার থালটা ?
ওসব রাজনীতি ফাজনীতি ছাড়ো,
শুধু এই কাজনীতিটাই তুমি ধর ।  
যদি জীবনে আনতে পার খেদ,
তবে তুমিই পারবে করতে ভেদ; শোষকের পাতানো ঐ জালটা ?
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই জীবনটাকে পাল্টা..........  
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই ঘুণে ধরা এই সমাজটাকেও পাল্টা ।

স্ব-উদ্যোগে শূন্য দিয়েই শুরু কর,
স্ব-মেধার বিকাশেই নিজেকে গড় ।
কর্ম বিনা কভু ধর্মও যে হয়না,
শরীরে বেশী তো সুখও সয়না; তাই ঊঠাও না কাজের তালটা ।      
জীবন যার কালোত্তীর্ণ কর্মময়ী,
শুধু সেই তো হয় মহান কালজয়ী ।
স্ব-চিন্তা প্রসূত কোন কর্ম বিনা,
কালপুরুষ কভু কেউ হয়না; নিরবিছিন্ন কর্মই বদলে দেয় কালটা ।
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই জীবনটাকে পাল্টা...........  
পাল্টা এবার পাল্টারে ভাই মোদের পুরো দুনিয়াটাকেও পাল্টা ।।  


রচনাকালঃ- দুপুর ১.৫৮ টা
শনিবার ০৯/০৬/২০১৮ ঢাকা ।