শান্তির সুশীতল বাতাবরণ খুলেছিল যখনই
সবুজে ঘেরা বাবা আদমের আর রাবনের দ্বীপদেশ শ্রীলংকা ।
শান্তি আনতে অশান্তির আগুনে অঙ্গার হয়ে
যাওয়া প্রানগুলো তখনই আবারও শুনতে পেল মৃত্যুর ডঙ্কা ।  

নিয়তিটা কি শুধু তাদেরই বারংবার অঙ্গার
হবার, আত্মঘাতীর বোমায় তিন শতাধিক নিহত হল এবার ।
ইস্টার সানডের প্রার্থনারত খ্রিষ্টান বন্ধুদের      
সেন্ট অ্যান্থনি গির্জাসহ পাঁচ তারকা হোটেল করল ছারখার ।

তোরা কারা বারবার কেন অতর্কিত হামলায়
হতাহত কর আমজনতা, কাদের সাথে মোরা করি বসবাস ?
তোদের এ কীর্তি দেখে আমাদের নাভিশ্বাস
আর কত লাশ চাসরে পাষণ্ডরা, তোরা চাস আর কত লাশ ?  

এই হত্যা হত্যা খেলে মানুষের রক্ত গিলে
তোরা নাকি করিস ধর্ম প্রচার, তবে কেন থাকো অন্ধকারে ?
ধর্ম কর্মের দোহাই দিয়ে ছড়িয়ে আতংক
কি ফায়দা লুটাও, কারা তোমরা চিনেছি ঠিকই হাড়ে হাড়ে ।    

হামলা দিয়ে শুরু হয় চাল, এর প্রতিঘাতে  
নির্মম খেলার সুত্রপাত করেই তোমরা বরাবর হচ্ছ মালামাল ।
এক হামলায় কিছু মানুষ মেরেই অভিযান
চালাবে, আসল অভীষ্ট লক্ষ্যে পোঁছাতেই বানিয়েছ এই ঢাল।

শুধু প্রান যায় বৌদ্ধ হিন্দু মুসলিম খৃস্টানের
আর তোরা সদা সুরক্ষিত থাকো মরও না টুইন হামলাতেও ।
আজ অব্দি যারা হারিয়েছি স্বজন এমনিভাবে
তারা শোক ভুলে সচেতন হবো, ছাড়বো না তোদেরকেও ।  
  
রচনাকালঃ- রাত ১০.৪৯ টা মঙ্গলবার ১০ বৈশাখ ১৪২৬,
১৬ শাবান১৪৪০, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ মিরপুর, ঢাকা ।