আপাদমস্তক পর্দাবৃতা স্বজন সমাদৃতা
ওগো অশান্ত মনের অপার চিত্তেশান্তা ।
কতনা গুণে গুণান্বিত তুমি যে অজান্তা !
প্রভুর পরম কৃপায় তোমায় পেয়ে হায়
অনবরত অবনত কৃতজ্ঞতায় হয় চিন্তা ।
হে আমার প্রাণ সজনী পরশমনি কান্তা !

শত বঞ্চনার এ জীবনে তুমি যেন প্রভুর
দেয়া আমারই বরাতের অমূল্য রতন ।
তাইতো তুমি আমার সাত রাজার ধন !
কি করে যে করি তোমার যতন, জগতে
নাই যেন অযোগ‍্য জহুরী আমার মতন !
তুমিই ঘটালে আমার জীবনের পরির্তন ।

নিজে পর্দাবৃতা আনত নয়না তবুও তুমি
গুটিসুটি পায়ে চল, ইতিউতিও করনা ।
চলতে গিয়েও পথবিনা কিচ্ছুটি দেখনা ।
কতনা সুদর্শন বাহারি আয়োজন করে
ঘুরে ফিরে তুমি তো ভূলেও তাকাওনা !
আমি দেখে তাজ্জব তোমার এ সাধনা !

পাপ পঙ্কিলতার পথে চলা আমিও তো
ছিলাম আর সব পুরুষদের মতো অসুর ।
তোমার চলাবলা দেখে হৃদে এলো নুর ।
তুমি যেন এই জগতের নও চাতুরী নারী
তোমাকে তাই দেখে লাগে জান্নাতি হুর ।
আমার জীবন সুখ শান্তিতে হল ভরপুর ।

তোমার পরিশুদ্ধ দেহ মনেরই পবিত্রতা
যেন জগতটাকেও করেছে আলোকিত ।
পাপী চোখেও দেখে হই চকিত চমকিত ।
কামুকতা কাপুরুষতা উবে গিয়ে পূন‍্যতা
পেয়ে অন্ধকার অন্তর করল আলোড়িত ।
তোমার ধারণকৃত ধর্মে মন যে বিগলিত ।

পরিশীলিত এই হৃদয় রয় তোমার মতো
পবিত্র সৃষ্টির মোহনীয় রূপ দেখে বিমুগ্ধ ।
অনুভবে অনুপম পরিবেশ সুবাসিত স্নিগ্ধ।
তোমার জ্ঞানগর্ভ জীবনাচারী শিক্ষা দ্বারা
পিপাসার্ত হৃদয়ও আমার হয়েছে বিদগ্ধ ।
তুমি যে পরম পাওয়া তাতে নই সন্দিগ্ধ !


রচনাকালঃ- বেলা ৩.২২টা, সোমবার, ২৪ মাঘ ১৪২৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।