আমার কাছে তুমি অমূল্য ছিলে বলেই কি
ভাই, তোমার মূল্য দেবে সবাই ?
নিঃস্বার্থে কেউ কাউকে মূল্য দেয়ার মানুষ
কোথায় পাবে ? আমিই তো পাই নাই ।
তবে হ‍‍্যাঁ, তুমি ছিলে গো সত‍্যিই অমূল্য;
এ জগতে আমি দেখিনি তোমার তুল‍্য !
কিন্তু জানো শুধু জুহুরীরাই জোহর চেনে !
তারাই শুধু তাকে ন‍্যায‍্য মূল‍্যে কেনে ।
কোন পাথুরে হৃদয় কেনে নাকি রত্ন পাথর ?
কিনলেও আজীবন সেথা পরে রবে নিথর !
অমূল‍্য রত্ন হয়েই তুমি হয়েছিলে সৃষ্টি
কর্মদোষে নাকি দূর্ভাগ‍্যে দিল কালদৃষ্টি ।
বানরের গলে ঝুলে রইলে হয়ে রত্নের মালা
ভাগ‍্যে নাকি দূর্ভাগ‍্যে এ যে নারকীয় জ্বালা !
তুমি যদি সত‍্যিই এই জীবনের মূল‍্য বোঝ
আজি তবে উত্তরণের সঠিক পথটি খোঁজো ।
মাছের মায়ের নাকি থাকেনা পুত্র শোক
তেমনি তোমায় নিয়েও নেই ভাবার লোক ।
স্বজন হলেও কার দুঃখ বুঝেবা ক'জন
নিজের দুঃখ তাই নিজেই কর নিবারণ ।
মনের বিরুদ্ধে করতে গিয়ে জীবন সংসার
সুদীর্ঘ জীবন ভরে শুধুই থাকবে হাহাকার ।
শত চেষ্টায়ও তেল জলে মিলে না গো কভু
জবরদস্তি কোথাও কিছু করেনি খোদ প্রভু ।
কেন তবে নিজের সাথে করছ এ প্রবঞ্চনা ?
কেন আজও কানে গুঁজে রেখেছ কুমন্ত্রণা ?
বেড়িয়ে এসো ঐ অন্ধকার কুঠুরী হতে
অধিকার কেউ দেয়না হয় ছিনিয়ে নিতে ।
অমূল্য বলেই দ‍‍্যুতি ছড়ানোই তোমার কাজ
তাই মান অভিমানে পড়ে থেকো না আজ
সোভিত কর হে যোগ‍্য জনের মাথার তাজ
তোমায় পেয়ে ধন‍্য হোক অনন‍্য সে যুবরাজ ।


রচনাকালঃ- রাত ১২:২৭টা, সোমবার ৪ শ্রাবণ ১৪২৯, ১৮ জুলাই ২০২২, মিরপুর, ঢাকা  ।