শহরের ভেতরে জঙ্গল নাকি জঙ্গলের ভেতরে
শহর, আহা ! কি যে দারুণ মনোহর !
জিবিকার জন্য শহর ও কবিতার জন্য প্রকৃতি
এমন সমন্বয় খুঁজে পাওয়া যে বেশ দুষ্কর..
বৃক্ষবন্ধুর বদান্যতায় গ্রীষ্মের দাপট মোটে নেই
হেথায় দিনেও রাস্তায় খেলা আঁধার আলোর ।
পাশের রাজ্যও অনতিদূরে ছাঁই হয়ে যায় পুড়ে
তখনও হেথায় কদর জ্যাকেট কম্বল তুলোর..
আমার ভালোবাসার অপর নাম যে ব্যঙ্গালোর ।


চৌকস বুদ্ধিমান মহারাজা টিপু সুলতান হেথায়
গ্রীষ্মকালীন কার্যক্রমে বানিয়েছেনও ঘরদোর..
রাত কি দিন সবাই চলে স্বাধীন হেথায় মোটে
নাই ছেঁচড়ামী ছিনতাই কিংবা ডাকাত চোর..
হেথা হোথা পড়ে রয় দামী গাড়ি দরজা খোলা
বাড়ি শালীনতায় চলে নরনারী নেই হৈ হুল্লোড় ।
ইস্ যদি পেতাম চিরযৌবন উপভোগ করতাম
হেথাকার চির বসন্তের মৌবন বিহান ভোর ।
আমার ভালোবাসার অপর নাম যে ব্যঙ্গালোর ।


চিকিৎসা সেবায় ব্রত হাসপাতালও শত আইটি
ইণ্ডাষ্ট্রি, সেরা শিক্ষারত হাজার বিল্ডিং ফ্লোর..
সুলতানি লালবাগ বোটানিক্যাল গার্ডেন আরও
অসংখ্য পার্ক বাগানে মানুষ থাকে আনন্দমুখর ।
আপন কর্মে ব্যস্ত সবাই তেমন তো বেকারত্বও
নাই স্বীয় স্বপ্ন নির্মাণে সবাই রয়েছে বিভোর ।
আমিও তার প্রেমে এতটাই বিভোর- ধন্য হবো
যদি জীবনের বড় সময়টা হেথা কাটে মোর ।    
আমার ভালোবাসার অপর নাম যে ব্যঙ্গালোর ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫৮টা, রবিবার, ১২ ভাদ্র ১৪৩০,
২৮ আগষ্ট ২০২৩, ব্যঙ্গালোর, ভারত ।