এই মনটা বানিয়ে পাথর
হেথায় পড়ে রবো নিথর
এই দূর দেশেরই অজানা অচিন গাঁয় ।
আর হাঁটবো না ঐ পথে
ধুঁকে ধুঁকে ব্যর্থ মনোরথে
চাতকের ন্যায় চেয়ে রবো না আশায় ।


খুঁজবো না তোমার ছায়া
মুছে দেবো মনের মায়া
পাথর পাহাড়ের এই দেশে রবো মিশে ।
জীবনের নিষ্ঠুর প্রহসনে
স্মৃতির দংশনে দংশনে
যন্ত্রণা কাতর রবো না আর নীল বিষে ।


তোমার বিরহকাতরতায়
আমি আজ বড় অসহায়
হয়ে উন্মাদপ্রায় কাটাচ্ছি দূর্বিষহ সময় ।
কি এমন গুরুতর পাপে
কারবা প্রচ্ছন্ন অভিশাপে
আমার হতে তোমায় কাড়লো দয়াময় ।


তোমার সে পথে চলতে
সবার সনে কথা বলতে
আমার বেড়ে যেত হৃদয়ের অস্থিরতা ।
দুচোখে শুধু ঝরতো জল
সানগ্লাসে লুকানোর ছল
আর কত করি বল, কত করি ভনিতা ?


প্রিয় জন্মভূমিকেই ছেড়ে
পাড়ি দিলাম এই সুদূরে
তুমিই সুখে স্বস্তিতে থাক গো নন্দিনী ।
পারতাম জবরদস্তি করে
ধরে রাখতে আমার ঘরে
কিন্তু চাইনি থাকো তুমি হয়ে বন্দীনি ।


তাই যা কিছু ছিল অর্জন
সবকিছুই দিয়ে বিসর্জন
ছেড়ে থাকতে এসেছি প্রাণপ্রিয় দেশ ।
কিছুতে পারিনি মানাতে
তোমার চলে যাওয়াতে
আমার স্বপ্ন সাধ সবি যেন হয় শেষ ।


স্রষ্টার সৃষ্ট এমন জীবন
কি করে করি গো হনন
আত্মহত্যা মহাপাপ বলে চলি এড়িয়ে ।
তাতে হোক না যত কষ্ট
হোক স্বপ্নগুলো সব নষ্ট
বাঁচি নাহয় পরিযায়ী হয়ে ঘুরে বেড়িয়ে ।


রচনাকালঃ- রাত ১১:৫৮টা, সোমবার,  ২৩ শ্রাবণ ১৪৩০, ৮ আগষ্ট ২০২৩, ব্যঙ্গালোর, ভারত ।