শরতের সাত সকালে শিশির হাসে
সড়কের দুই ধারের ওই দূর্বা ঘাসে
ঝিলমিল ঝিলের জল করে টলমল  
তার বুকেতে কি দারুণ হাঁসেরা ভাসে !


কুলকুল বহতা নদীর বালুকা দু'কুল
সেজেছে শোভাময় ঐ শুভ্র কাশফুল
শরতের সোনালী বিকেলে রাখাল
বংশী, মোহনীয় সুরে মন করে ব‍্যকুল !


নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা
দিনমান ছুটে দিগন্তে জমায় মেলা
মাঠে মাঠে সব দামাল ছেলেরা করে
কলরব, উৎসব জমে যেন গোধূলিবেলা !


শরতের স্নিগ্ধ রাতে শিউলি ফোটে
দেখে মাধুরী মিষ্টি হাসে রাঙা ঠোঁটে
আমি শ্রান্ত সৈনিক হই শান্ত, বছরে
একবার যদি শরৎ দেখার ভাগ্য জোটে !


শরতের পরতে পরতে প্রকৃতির রূপ
আমি দেখে থাকতে পারি না নিশ্চুপ
ঋতু রাণী না জানি তারে যথাযথ
প্রকাশবিনা আমায় কিনা করে বিদ্রূপ !


রচনাকালঃ- রাত ১০:০৯টা, মঙ্গলবার, ২২ ভাদ্র ১৪২৯,
৬ সেপ্টেম্বর, মিরপুর, ঢাকা ।