মনেতে ছিল গো বড় আশা
পাবো নিখাঁদ ভালোবাসা ।
গনমাধ‍্যমে দেই বিজ্ঞাপন
কিন্তু কেউই হয়নি আপন ।
সেজেছি তারুণ্যের আর্দশ
দিয়েছি প্রেমেরও পরামর্শ ।
নাচে গানে আর অভিনয়ে
যা বলেছি ডরিনি ধর্ম ভয়ে ।
নিজেকে বানাতে আধুনিক
ব‍্যস্তও থেকেছি সার্বক্ষণিক ।
বুঝি নাই কি হবে কর্মফল
বুঝলাম হারিয়ে সব সম্বল ।
মানলাম নাতো ধর্মের বাণী
এজন‍্যে জীবনে এলো গ্লানি ।
যেই সাজালাম রূপের পসরা
সব লুটেও নিল বিগ বস্ রা ।
যৌবনে জ্বলে করলাম পাপ
বয়স শেষে এলো পরিতাপ ।
বিয়েও করিনি ধর্মবিধি মেনে
অভিশাপও দিল স্বজাতিগনে ।
হেলা করেছি স্বীয় ধর্মবিধান
করেছি স্বজাতিকেও অপমান ।
রক্তের তেজে করেছি অবজ্ঞা
জীবনে তাই হলনা জ্ঞান প্রজ্ঞা ।
ভোগ করল সবে সুন্দর দেহ
নিখাঁদ ভালো বাসল না কেহ ।
হয়ে রইলাম সদা প্রবৃত্তির দাস
নিজেই নিজের করলাম বিনাশ ।
ভালোবাসা এভাবেই করে অন্ধ
করে সম্ভাবনার সব দরজা বন্ধ ।
মানুষ পরিনত হয় যে অমানুষে
নরকেও যায় মনে নিরাশা পুষে ।
হায়রে মানুষের ভালোবাসা...
তুমি কি জগতের সেরা সর্বনাশা ?

রচনাকালঃ-রাত ১১টা, বৃহস্পতিবার, ২০ মাঘ ১৪২৮, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, মিরপুর, ঢাকা ।