৩০২ রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম টলতে টলতে
ক্লান্ত, নিঃশেষিত, বিমর্দিত গোলাপের মতো।
করিডোরের একঝাঁক হলুদ আলো লুটিয়ে পড়ল রুমটিতে
কিন্তু তিনটি জীবনের আলো নিভে গেছে-
দরজার ওপাশে-
চিরতরে।
হাঁটু গেড়ে বসে পড়লাম শিশুর মতো লম্বা করিডোরে
কোণে সাজিয়ে রাখা একটা টবের পাশে,
একটা মৃত প্রজাপতি পড়ে আছে টবে,নিথর
শুকনো কাঠ দেহ মেখে আছে কালো মাটিতে
সিঁড়ির ওপাশ থেকে ভেসে আসছে পায়ের শব্দ
একটা দুটো ছায়াবিন্দু, কিছুক্ষণ পরই অজস্র ছায়া
ঢেকে দিবে হলুদ করিডোর কালো আঁধারে
গত পাঁচটি মাস জিন্দালাশ হয়ে বেঁচে আছি
আমাকে ছুঁড়ে ফেলেছিলে সিগারেটের মোড়কের মতো,
দেহ-মন ভোগ করেছো সমানে, প্রতিবাদ করিনি
কারন তুমি ভুলিয়েছিলে আমার অতীত, যে অতীত থেকে
পালিয়ে বাচঁতে চেয়েছি প্রাণপণে
অথচ কি অবলীলায় বলেছিলে,”যা হয়েছে ভুলে যায়,
কখনও ভালবাসিনি তোমায়, আমার স্ত্রী,মেয়ে আমার
পৃথিবী”
তোমার বিস্ফোরিত চোখের সামনে ট্রিগার চেপেছি
অদ্ভুত নির্লিপ্ততায় এবং তারপরই আশ্চর্য নীরবতা।


কিছু উৎসুক দৃষ্টি ঝুঁকে আছে অসীম জিজ্ঞাসা নিয়ে
সরু করিডোর জুড়ে চাপা ফিসফিস
ফরফর করে জানালার শার্সি বেয়ে উড়ছে ছায়াফড়িং
একটা ছোট মুখ, একটা ছোট রক্তাক্ত মুখ আর এক
মায়ের ডুকরে উঠা প্রাণভীক্ষায়, কিন্তু সব ছাপিয়ে
ট্রিগার চাপার রুক্ষ অনূভুতি
পড়ে আছি মৃত শুকনো প্রজাপতি হয়ে
অপেক্ষায় গাঢ় অন্ধকারের।