মশারির ভিতরে মশার বাস
সরিষার মধ্যে ভূত।
মৌলভি সাবেও গালি দেয়-
'কিসের নাকি পুত'!
পলিথিনে বয় ডাবের পানি
রোগীর পথ্য জবর ভালা।
'সিরাজ তোমায় ভালোবাসি',
বলে ঘষেটি খালা।


বয়াতিরা হাদিস শেখায়
প্রতারকেরা শেখায় ধর্ম।
ধর্মের ঝান্ডাধারীরা অধিক বুঝায়-
নিজ তরিকার মর্ম।
মোড়ল বাড়ির দাওয়াত খেয়ে
ইমাম সাবরা খুশি।
কেউবা আবার ভয়ে কাতর
বলতে- 'মোড়ল দোষী'।


ভাইরাল হওয়ার লোভে তরুণী
কাপড় অবধি খুলে।
ছড়াচ্ছে সব নোংরামি আজ
শেখর থেকে মূলে।
শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার খরা
শিক্ষা প্রাইভেট হোমে।
রোগীর সেবা চেম্বারেতে
একটু বেশিই রমরমে।


ব্যবসায়ীদের সাধুতার কথা
বলাই বাহুল্য।
সিন্ডিকেট নেই, ভূতে বাড়ায়
যখন তখন মূল্য।
ভেজাল যেসব পণ্য আছে
আকাশ থেকে পড়ে।
আকাশি পণ্য বিশুদ্ধ জেনে
দোকানি বিক্রি করে।


দরকারি সব সরকারি সেবা
সহজে পেতে হলে।
উপরি কিছু ঢালতে হয়
ভুক্তভোগী জন বলে।
কাজি বাড়ির দাঁড়িপাল্লাও
হয়েছে ডিজিটাল।
মানদন্ডের ভার লাগায় না আর
মাপতে বিষয় হাল।


যাচ্ছে কোথায় সমাজ এখন
বুঝা বড় দায়।
ইস্যু পেলেই সবাই মিলে
দুভাগ হয়ে যাই।
বুঝে বা না বুঝে যা-তা নিয়ে
হুজুগে সবে মাতি।
এই হুজুগেপণা না ছাড়িলে
সামনে ভীষণ ক্ষতি।