ফেলে আসা শৈশব হাতছানি দেয়
মধুময় স্মৃতিগুলো মন কেড়ে নেয়।
খেলার সাথীরা সব স্মৃতি পটে ভাসে
এই বুঝি তারা সব গায় আর হাসে।


লুকোচুরি-কানামাছি যত সব খেলা
খেলে আর হেসে-গেয়ে কাটিত বেলা।
খাল-বিল, ঝোপঝাড় আর বনে-জঙ্গলে
চষে বেড়িয়েছি কত মিলে দলবলে।


পাঠশালা-মক্তব ছিল ভালো লাগার স্থান
সমস্বরে পড়তাম সবে, হতো কলতান।
শিক্ষক আর উস্তাদ ছিলেন মাথার তাজ
স্নেহ ও শাসনে করেছেন মানুষ গড়ার কাজ।


গাঁয়ের প্রতিটি ঘর ছিল ভীষণ আপন
স্নেহের পরশে সবে ভরে দিত মন।
কেউ সাধতো পিঠাপুলি কেউবা ফল
যখন যেখানে যেতাম- পেতাম স্নেহ নির্মল।


কার গাছে কী পেকেছে হয়ে যেতো জানা
বন্ধুরা সব কুড়াতে গিয়েছি- মাঝেসাঝে হানা।
চোখ মুদলে এখনো পাই পাকা ফলের ঘ্রাণ
পাই না শুধু হারিয়ে যাওয়া উচ্ছলতার প্রাণ।


অনুষ্ঠান আর উৎসবে থাকতাম বাঁধনহারা
খুশির ঢেউ জাগতো প্রাণে যেন পাগলপারা।
বন্ধুরা সব হৈ-হুল্লোড়ে মাততাম সারাক্ষণ
এখন সেসব মনে পড়লে কেঁদে উঠে মন।


ফুল-পাখি, গাছ-গাছালি ছিল মোদের সখা
বাবার শাসনে ভয় ছিল, মায়ের বকুনি মধুমাখা।
ছোটাছুটি, সাঁতার আর যত দুরন্তপনা
সাজিয়ে দিল শৈশবের স্মৃতির ডায়েরিখানা।