প্রায়ে দুটো বাজে , বাইরের প্রচণ্ড গরম,
রাস্তার পিচ গলে গিয়ে হয়ে গেছে নরম ।

গোপাল ওর চায়ের দোকানের একটা দরজা দিল ভেজিয়ে,
খাটের থেকে বালিশটা নিয়ে মেঝেতে শরীরটা দিল এলিয়ে ।


বাবা মারা যাবার পরে, সেই ১০ বছর থেকে গোপাল এই দোকানে বসে ,
কত কথা, ব্যাথা, সন্ধি, আভিশন্ধি, চর্চা, নিন্দা, আলোচনা ওর কানে আস...


গোপালের মনে হয় চায়ের দোকান হল লোকের মন খোলার স্থান ,
শুয়ে শুয়ে গোপলের কাগজের একটা খবরের দিকে গেল ধ্যান।


“ এক বাবা তার ছেলের শখ পুরন করতে গিয়ে হাসপাতালে গুনছে দিন” ,
গোপালের মনে পরে গেল ওর বাবার কথা, ওর বাবা ও পরিবারের জন্য খাটত রাতদিন।


ভেতরে ভেতরে জ্বর হত, খেতনা, ঘুমতনা, হাসি মুখে করে যেত পরিবারের সেবা,
আজ দশ বছর হল বাবা চলে গেছে , সবাই ভুলে গেছে মনে রেখেছে কেই ব.


গোপালের চোখে জল এল, মন চাইল বাবাকে জরিয়ে ধরে বলে, আজ বুঝেছি বাবা কথাটার অর্থ ,
তুমি থাকতে কোনোদিন বুঝিনি বাবার ভালবাসা কতটা গভীর, অকপট আর নিঃস্বার্থ।


বেশীরভাগ বাবারাই বোধ হয়ে চুপচাপ দায়িত্ত পালন করে জায়ে, পরিবারের কথা ভেবে,
যেটা তারা পায়েনা, সেটা একটু ভালবাসা, একটু আদর, তাহলে হয়ত জেতনা অকালে সকলের আগে।


গোপাল আওরাতে থাকে – পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমন্তপ পিতরি প্রিতিমাপন্নে  প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতা...।।