পেটে থাকতে নেমন্তন্ন বাড়ি যেত না
পছন্দের খাবার খেত না


        নিয়ম করে মন্দিরে গিয়ে পুজ দিত
         শত মানা সত্তেও উপোষ করত


জন্মানর পরে, শরীরের সব কষ্ট উপেক্ষা করে রাত জাগত
আমি হাসলে হাসত, কাঁদলে কাঁদত


      এ বি সি ডি ১ ২ ৩ ৪ শেখাত
      ১৪ বছর অব্ধি খাবার খাইয়ে দিত


স্কুল নিয়ে যেত নিয়ে আসত
নিজের জ্বর শরীর খারাপ নিয়েও রান্না করত


      নিজে পরে , হোম টাস্ক করাত
      রাত জেগে প্রজেক্টের মডেল বানিয়ে দিত


শরীর খারাপ হলে, ডাক্তার ডাকতো, ওষুধ খাওয়াত
সকাল বিকেল কেবল ঠাকুর ডাকতো


     পরিক্ষার দিনে , মাথায়ে দইয়ের ফোটা দিত
     বিপদে সব সময়ে পাসে থাকত
    কিসে আমার মঙ্গল তার পরামর্শ দিত


আজ চাকরি পেয়ে বিয়ে করে আমি মাস্তান
তার অবদান গুলো নিছকই কর্তব্য, এজুগে ওরা বেমানান


     আমি এজুগের উন্নত প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত প্রফেশানাল
    বড়দের অযাচিত গ্যানদান, লাগে ঘ্যানঘেনে আর ভুলভাল


অফিসের কাজ, পার্টনার আর বন্ধুবান্ধবদের নিয়েই আমি ব্যাস্ত
বাবা মা, মামা মামী, কাকা কাকি, দাদা দাদি, সেকেলে সমস্ত


তাই আজকাল ওদের পেছনে টাইম দেওয়া বেওকুফি মস্ত
সপ্তাহে দু মিনিটের ফোন কল “কেমন আছো কি করছ” –এটাই যথেষ্ট