ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।
ওম
ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।
ওম
ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয় হে তবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গতি পরমেশ্বর।।
    এই মন্ত্রে জপে
               রাশি রাশি পার্বতী আজ  শিবমন্দিরে
মনযোগী হয় সবে
ব্রতের পালনে ।
জোড় হাতে নত শিরে
করে প্রার্থণা
শিবসম স্বামী চাহে
নিষ্ঠামনে বামা ।
ঘি মধু দুধ চন্দন গঙ্গা জল দিয়ে
চতুষ্প্রহর জেগে
শিবলিঙ্গে ঢালে ।
বেল ফল থাকে সাথে
প্রসাদি থালায়
হুক্কাতে দম দিয়ে
তামাক সাজায় ।
আকন্দো ফুল গেঁথে করে মাল্যদান 
ধুতুরা ভাটির ফুলে
পূজো করে নারীগন ।
দিবানিশি উপবাসে
করে উপাসনা
শিবের করুণা চাহে পূরাতে বাসনা ।


শিবের মতো বর,বাঁধুক আমার সাথে ঘর,
এই প্রাথনা আজ সব আইবুড়ো মেয়ের মনে,
শিব শশ্মানবাসী,শিব ছাইভস্ম মাখে,
নেশা ,ভাঙ করে,
এই কথা কী সকল আইবুড়ো মেয়েরা জানে?


শিব আশুতোষ, অল্পেই হয় সন্তুষ্ট
আধুনিক নারী,অল্পে হয় দারুন ভাবে রুষ্ট।


শিব অলস, কাজে নেই মন তার,
বর্তমানের তন্বীরা পছন্দ করবে কী, বর বেকার?


ভোলানাথ জটাধারী, পড়ে না চুলে চিরুনের আঁচড়,
আধুনিক নন্দিনীদের চাই,
চুলে জেল লাগানো, স্পাইক করা বর।


ভূত, প্রেত, ভৈরব নিয়ে কাটে সময় শশধরের,
পার্বতী থাকেন সদাই চিন্তায়
একালের মেয়েরা কী চাইবে?
বর বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে সারাদিন আড্ডা দিয়ে ,
সন্ধ্যায় ফিরে আসুক বাড়ীর খাঁচায়।


শিব পরে বাঘছাল,
খালি গায়ে থাকে বেশিরভাগ সময়
এযুগের অষ্টাদশীরা ফ্যাশন মেনটেইন করে,
রংচঙে পোশাকে তারা খুশি হয়।


এতো বৈপরীত্য,
তবুও শিবরাত্রি পালন হয়,
জয় বাবা মহাদেবের জয়,
জয় ভোলানাথের জয়।



*** শিবরাত্রির শুভেচ্ছা রইল কবিতায়***