‘ফুলটা যতক্ষণ ফুটবে, ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে প্রাতরাশ।’


কতক্ষণ মনে নেই তাকিয়ে ছিলাম একদৃষ্টে ফুলটার দিকে।
বিগত এক রাতের খিদে তখন স্পষ্ট চোখে মুখে,
বিশ্রাম বলো, আর যাই বলো,
জান্তব বলো আর পাশবিকই বলো, সেও তো সতৃষ্ণায়,
...... অথচ তোমার দেখা নেই।


আমি গনগনে ভোরের আলোয় বহুকষ্টে চোখ চেয়ে আছি,
নিরাপদ দুরত্বে;
তার চেয়ে বড় কথা আশেপাশে সবারই প্রায় প্রাতরাশ নিঃশেষিত।


অপেক্ষার প্রহর হারালাম অপেক্ষার,
নিজেই টেনেটেনে খুলতে লাগলাম একটা একটা করে পাপড়ি
ফুলের কষ্টের চেয়েও আমার খিদের যন্ত্রণা বেশী প্রতীয়মান।


অঙ্গহীন একটা লাশের মত দেখাচ্ছে ফুলটাকে এখন।


পিছন ফিরে দেখি, তুমি। ফিরে এসেছ, সুগন্ধি প্রাতরাশ হাতে।
সত্যি। অপেক্ষা কখনো অন্তহীন হতে দিতে নেই।