বুড়ি ছোঁব কি ছোঁব না ভেবে গিয়েছিলাম বুড়িসাগরের জংগলে,
তখন বিকেলের করোটি আকন্ঠ পান করেছে গোধূলি,
চৈত্রের হাওয়ার মতো হাত ধরা ছিল সেই বছরের মেয়েটার,
আঙুলে আঙুল টোকা, বিদ্যুৎ নিহিত শরীর,
মুখের আবছায়া আমাকে শুধোয় – তুমি একা?
তুমি ছিলে, তুমি আছো আজও এ নরকবাসে,
আগুন ঢেলো না আমার পবিত্র শরীরে,
অনাবৃত ঢেউ বুড়ি ছুঁয়ে যাচ্ছিল জংগল আগলানো রাতে।


যদি একাই হবে তবে যা পারো দিয়ে যাও –
দিয়ে যাও অকৃপণ হাতে, ভালোবাসা বা উন্মুক্ত বুক – যা খুশী।
একটা কবিতা প্রসবের আশংকায় সারারাত্রি যাপন;
নাভিতে রেখেছি হাত সেই বছরের সেই মেয়েটার,
ছন্দে ফিরে আসতে চাওয়া ভীষণভাবে আমার,
শুষে নিতে চাওয়া যাবতীয় জংলী ক্রোধ-অহংকার;
ফিরে আসতে হয়েছিল স্তন-লোভী শিশুর মত নাগরিক কাদামাটিতে।
ওর মুখের আবছায়া আমাকে শুধোয়, সেই শেষবারের জন্য – তুমি একা?


আজও একটা নিঃসঙ্গ কবিতা লিখতে পারলে ভাবি;
ভাবি, আজও মেয়েটা ভিজছে না তো! একা?