হৈমন্তের প্রভাতে চলেছি হেঁটে
গাঁয়ের ঐ নির্জন বক্রবাটে
প্রভাতবায়ু গায়ে মাখিয়ে,
নদীকূলে বইছে উচ্ছৃঙ্খল বাতাস
নদীর দুই তীর সুসজ্জিত করে
ফুটে আছে দৃষ্টিনন্দন কাশফুলগুলো।

পাখিদের মিলিত কণ্ঠে সৃষ্ট
শ্রুতিমধুর গানে মুখরিত চারদিক
পূর্ব গগনে আঁখি মেলে তাকিয়ে দেখি,
সবেমাত্র রক্তবর্ণ রূপ ধারন করেছে
এখনো সূর্য ওঠেনি সুদূর গগনে

ঘাসের অগ্রভাগে সঞ্চিত হয়েছে
বিন্দু বিন্দু কুহেলিকার কণা
নিবিড় আলিঙ্গনে পা ভিজিয়ে দিচ্ছিল,
অদ্ভুত একটা শিহরণ ঢেউ খেলে যায়
দেহাভ্যন্তর জুড়ে অনুভূত হয়
অসাধারণ এক বিহ্বলতা।

পূর্ব গগন ভেদ করে সূর্যোদয় হলো
সূর্যের দীপ্তিময় আলোকরশ্মি
বর্ষণ হলো ভূপৃষ্ঠের বুক জুড়ে
আমিও আলিঙ্গন করে নিলাম
সূর্যের হেমময় কিরণ এই দেহস্থে।

রূপের জৌলুসে রূপায়িত
আমার সবুজ শ্যামল এই বাংলা
গহীন অরণ্যে পরিবেষ্টিত
আমার এই প্রিয় মাতৃভূমি
ধন্য আমি তাই জন্ম নিয়ে
মোহরূপ এই বাংলার বক্ষস্থলে।