থেকে থেকেই ফেঁপে ওঠছে সমুদ্র
ক্রমান্বয়ে ছুটে আসছে জলাকর্ষী ঢেউ
যেন নেই কোনো নিয়মলঙ্ঘের বালাই,
ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসে শুক্তিগুলো
সৌখিন মানুষেরা কুড়িয়ে নিচ্ছে সব
মুগ্ধময় দৃষ্টিতে আমি উপভোগ করি
সহসাই থমকে যায় আমার দুটি চোখ।


চোখ ধাঁধানো রূপের জৌলুস নিয়ে
যেন সাগরের অবতল থেকে অভুদ্যয়
হলো কোনো অত্যুজ্জ্বল মৃণ্ময়ী প্রতিমা!
গোলাপের পাপড়িরা সকল সৌন্দর্য যেন
বিলিয়ে দিয়েছে তাকে, বাতাসের ঝাপটায়
দোল খাওয়া চুল থেকে নির্গত হয়
গোলাপ পাপড়ির সেই চিত্তাকর্ষক সৌরভ


স্নায়ুতে স্নায়ুতে রক্তের বিদ্যুৎ গতি
অকস্মাত্ ঢেউ খেলে প্রতিটি অবয়বে,
অন্তরে জাগ্রত হয় অনন্ত প্রেম পিপাসা।
আমি তার প্রেমালয়ের ছাত্র হয়ে
সারা জীবনের জন্য প্রেমের উষ্ণ-
আলোয়ানে আবদ্ধ হয়ে থাকতে চাই।


সে হৃদয়ের বিস্তীর্ণ আকাশ জুড়ে
এক ফালি পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে
আমার মনের উঠোনে জ্যোৎস্না ঝরায়,
আমি সেই আলোতে বসে নির্বিঘ্নে
বুক ভরা অপার প্রত্যাশা নিয়ে
প্রতীক্ষার প্রহর গুনি, পড়বে বলে
তার পদচিহ্ন আমার মনের বাটে!


প্রণয় বুভুক্ষা নিয়ে ভীষণ উন্মাদনায়
রিক্ত হাতটা বাড়িয়ে অপেক্ষায় আছি
একলা আমি প্রেমের এই উপত্যকায়,
শুধু প্রতীক্ষায় আছি কখন আসবে
তার প্রবোধিত সেই সবুজ সংকেত।