যদি চন্দ্র হতাম,
তোমার গ্রীবা ছুঁয়ে নাভিমূলে
আদরে জড়িয়ে দিতাম জ্যোৎস্নার চাদর,
মিটিয়ে নিতাম হৃদয়ের জমানো আজন্ম তৃষ্ণা ।


যদি কাজল হতাম,
নিবিড় আলিঙ্গনে ছুঁয়ে যেতাম
তোমার নির্লিপ্ত নয়নের কালো পাপড়ি,
অক্লেশে জাগিয়ে দিতাম প্রণয়ের ইন্দ্রিয় নেশা ।


যদি বায়ু হতাম,
তোমার চুলের বাঁধন খুলে
স্নিগ্ধতায় উড়িয়ে দিতাম হিমেল সমীরণে,
কুড়িয়ে নিতাম ঝলমলে চুলের মাতাল সুবাস ।


যদি ওষ্ঠরঞ্জনী হতাম,
রক্তিম আভায় রাঙিয়ে যেতাম
তোমার মধুর কোমল অধর যুগল,
শুষে নিতাম অমৃতের সুধা তৃষ্ণার জল ।


যদি বৃষ্টি হতাম,
তোমার কোমল শরীর ছুঁয়ে
দুর্নিবারে পাড়ি দিতাম অন্তর গহিনে,
রক্ত কণিকায় বহিয়ে দিতাম স্বর্গীয় উষ্ণতা ।


যদি মাল্য হতাম,
বক্ষের উপকূল পাড়ি দিয়ে
তোমার হৃদয়ের মন্দিরে নিতাম আশ্রয়,
অন্তর গহিনে জাগাতাম হৃৎকম্পের উষ্ণ ঝড় ।


যদি ইন্দ্র হতাম,
তোমার কোলে বসত গড়ে
উষ্ণ আলিঙ্গনে কাটিয়ে দিতাম প্রহর,
মিটিয়ে নিতাম সহস্র জনমের অমৃতের ক্ষুধা ।