ভাদু ছিল রাজার বেটি
কাশীপুরে ধাম
ভাদর মাসে জনম বল্যে
ভদ্রাবতী নাম ।
জনম হতেই উপচ্যে পড়ে
রাজ্যের ভাঁড়ার
গরীব ধনী বলল্য সবাই
ভাদুর চমৎকার ।
রূপে গুনে এমন মেয়্যা
ভুভারতে নাই
সবার সাথে মিলা মিশা
সবার আদর পায় ।
দিনক্যে দিন'ত হছে বড়
ষোলর কঠা পার
বিহা দিত্যে হবেক ভাদুর
রাজার মনটা ভার ।
খুঁজে খুঁজে মিলল জামাই
রাজার ছিল্যা এক
ফর্সা রূপে ঝাঁকড়া চুলে
দেখবি কাকে দেখ ।
করত্যে বিহা ঘড়ায় চড়ে
বরযাত্রীর সনে
রাজার ছিল্যা আসত্যেছিল
সিধা পথে বনে ।
ডাকাত দলে লুটে উঁদের
নিকাষ করে জানে
ভাস্যে গেল খুশীর মেলা
চোখ্যের জলের বানে ।
বিহার রাত্যে কপাল পুড়া
দুষছ্যে উঁকে সবাই
গলায় দড়ি লিয়ে ভাদু
ঘুঁচায় জীবনটাই ।
আকাল হল্য গটা দেশে
উজাড় হল্য ঘর
বুঝল্য লকে ভাদুই ছিল
দেশে পয়মন্তর ।
করল্য শুরু ভাদর মাসে
ভাদু বিটির পূজা
মুত্তি গড়্যে গানের সুরে
সঙে খাজা গজা ।
ভাদু মুদের ঘরের বিটি
রাখব্য ভাদুর মান
ভাদুর ছুঁয়ায় হবেক দেশে
সবুজ ধানের বান ।


• পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া-বাঁকুড়া জেলায় প্রচলিত লোকগাঁথা অনুসরনে ভাদু উৎসবের ইতিবিত্ত ।