মানলি হামরা বকা সকা
তা বলে লই দুধের খঁকা
সবেই বুঝি রা কাড়ি না
ভাবিস তুরা নাইখ ন্যানা !
লড়াই করেই মুদের বাঁচা
নাই’খ কনও মামা চাচা
দিনমজুরীর সরকারী রেট
আধা দিয়ে ভরিস পকেট ।
বলত্যে গেলে ছাঁট্যে দিবি
মরবে ছিল্যা মরবে বিবি
মুরাই বনাই সাত মহল্যা
লিজের ঘরের ভাঙা চালা ।
মাচার উপর মরন ফাঁদে
পিছল্যে গেলে সিধা চাঁদে
নাইত কারু কমর ভাঙে
হাসপাতালের খরচা মাঙে ।
দেখাই দিছিস উপরয়ালা
তুই’ত তখন গঙা কালা
খেদাই দিছিস ইমন হলে
ইসব লককে মানুষ বলে ?
হুমদ্যামুখ্যা ছাগল্যা দাড়ি
পেট মারে কর ঠিকাদারি
খুন চুষাদের পুষা দালাল
ঘুঁচে যাবেক লবাবি চাল ।
শির উঠাছ্যে ভুঁখা মজুর
বাঁচাবে তুর কনও হুজুর ?
তারল্যে ভাল বদলা নিজে
ছাগল্যা হাসে মাংস সিজে ।
গতর খাটার ল্যাহ্য পগার
জান বাঁচাতে দে’ন উধার
দেখবি তবে কামটা পাবি
টেকার সঙে নাম কামাবি ।
(কবিতাটি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জেলার গ্রাম্য কথ্য ভাষায় রচিত)


কিছু আঞ্চলিক শব্দের বাংলা অর্থ -
রা কাড়ি না (মুখে বলি না); ন্যানা (কমন সেন্স); গঙা (বোবা);খেদাই (তাড়িয়ে);হুমদ্যামুখ্যা (গোমড়ামুখো);ভুঁখা (ক্ষুধার্ত);সিজে (সিদ্ধ হয়); গতর (শরীর);পগার (বেতন);উধার (ঋণ)