গান্ধি বুড়ি মাতঙ্গিনী
মেদনীপুরের গরব
ভুলব কিসে উনার লাগ্যে
স্বাধীনতার পরব ।
বাল বিধবা গান্ধি বুড়ির
হোগলা গাঁয়ে জনম
দেশের টানে জীবন বাজি
দেশের লাগ্যেই করম ।
চরখা কাটা খাদি কাপড়
সাদা সিধা বেস
দেশের শিকল ছিঁড়তে হল্যে
গরা শাষন শেষ ।
জ্বলছ্যে আগুন মেদনীপুরে
তুলতে উঁদের পাট
একে একে করল খতম
তিনটা বড় লাট ।
খুন রকতে বিশ্বাসী লয়
গান্ধি বুড়ির মন
আইন ভাঙে নুন বনায়ে
জেল বন্দী হন ।
বিয়াল্লিশের ভারত ছাড়
গান্ধি বাবার ডাক
ঝাঁপাই পড়েন মাতঙ্গিনী
লাখ মানুষের ঝাঁক ।
বিরটিশ তুমি ভারত ছাড়
মিছিল চলে গাঁয়ে
গান্ধি বুড়ি সবার আগে
চলেন খালি পায়ে
বাঁ হাতেতে শাঁখ বাজায়ে
ডানে তিরঙা ঝান্ডা
বন্দুক নিয়ে গরা পল্টন
পুলিশের হাতে ডান্ডা ।
আগায়ে যায় মিছিল তবু
নাই মনে ভয়ডর
ঝাঁকে ঝাঁকে বুলেট বিঁধে
কত মানুষ নিথর ।
গুলি খাঁয়েও গান্ধি বুড়ির
ভারত ছাড় ডাক
বিঁধল গুলি কপাল যখন
বন্ধ হল্য বাক ।
তাইত আজও মাতঙ্গিনী
জিহাদের এক নাম
অমর উনি অজর তিনি
জানাই মুদের পেনাম ।


মাতঙ্গিনী হাজরা (১৮৬৯–১৯৪২) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক মহান বিপ্লবী নেত্রী। ১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তদনীন্তন মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার সামনে ব্রিটিশ ভারতীয় পুলিশের গুলিতে তিনি শহিদ হয়েছিলেন। তিনি "গান্ধীবুড়ি" নামে পরিচিত ছিলেন।