সময় যখন শেষের দিকে
বয়স হয়তো সত্তরের ঘরে,
জীর্ণ রোগাক্রান্ত শরীর
খু্ব কমই হয়তো নড়ে!


যৌবনের সময় নিয়ে ভাবা আর
ঝাপসা চোখে, যুবকদের কাজ
দেখা ছাড়া যখন কোন কাজ নেই,
আজরাইল এসে কড়া নাড়ল বলে!


তখন হয়তো তোমায় খুব করে মনে পড়বে।
হয়তো ভেতরটা তোমার জন্য কাঁদবে,
সেই সময়টুকু,
অতীতের, কিশোর বয়সের সেই,
সেই অল্পকিছুক্ষণ, কিছু সময়
অসম্ভব কষ্টের সাথে মনে পড়বে।


হয়তো তুমি আমায় ভুলে যাবে,
সংসারের চাপে,
কিংবা চুমুকে চুকুকে ভোরে
বানানো চায়ের কাপে,
কিংবা দুপুরের প্রচন্ড রোদের তাপে।


আমি তো তা পারিনা, পারবোনা
হয়তো সংসারের ঝামেলার ফাঁকে,
প্রতিনিয়তই মনে পড়বে তাকে!


আর বেশিক্ষণ সময় নেই,
অতিথি দরজায় দাঁড়িয়ে সেই!


এখনকার মতো তখনও হয়তো
এভাবেই টপ টপ করে অশ্রু গড়াবে।
এইযে তোমায় না পাওয়ার ব্যথা,
অসম্ভব যন্ত্রণা, কষ্ট, অক্ষেপ
সেই যে চক্রবৃদ্ধি হারে
বাড়তে শুরু করেছিলো,
তা সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছাবে।


তোমাকে না পাওয়ার এক বিশ্রী যন্ত্রণা,
আমার কাফনের ভাজে,
মুড়িয়ে নিয়ে যাব!


তখন কষ্টটা তোমাকে না পাওয়ার হবেনা,
এজন্য হবে যে,
এইযে তোমার দেওয়া যন্ত্রণা
সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করছি
পরপারে নিয়ে যাওয়ার জন্য,
তা তুমি জানতে পারবেনা
কখনো জানতে পারবেনা!