ও হে সুন্দর,
বহ মন্থর,
সরিয়েছি মম অবগুণ্ঠন,
তাইতো এবার, খুলে দিয়ে দ্বার,
কাশের বুকে তব সম্মুখে,
লুটিয়ে পড়েছে রবির কিরণ।

তবুও তো তুমি,
চুম্বিয়া ভূমি,
স্রোতের বেগে কর্ষিয়া তারে,
উপেক্ষা কোরে আকাশটারে,
যে দিয়েছিল সলিল তোমারে,
চলেছ সমানে সাগরের তরে,
কত বাঁক বেয়ে, অনায়াসে ধেয়ে,
এগিয়ে চলেছ আপন মনে,
করলেও সমুদ্র গর্জ্জন সমানে,
এগিয়ে এসে দেয়না সে মন,
তোমার কি নেই আত্ম চিন্তন,
বর্জন করনা তারে, কিসের টানে?
সে কি একমাত্র ভ্রমরেই জানে।

হ্যাঁ সেই জানে, কি আছে কাননে,
থাকলেও এত, পলাশ শিমূল,
কন্টক সজ্জিত অতিরঞ্জিত,
তার চাই সেই, গোলাপেরই ফুল।

যেমনটা তুমি শরত এলেই,
ভুলে যাও তোমার জন্মদাতা,
তেমনই ঘুরলে শীতের চাকা,
ভ্রমর যে দেয়, কোথায় গা ঢাকা,
বসন্ত এলে উঠবে উথলে,
দরদ আবার, প্রণয়ের তরে,
বুঝলাম প্রেম করে, কেবলি স্বার্থপরে ।