এ এক আত্মাভিমানী
বৃক্ষের কাহিনী,
বন্ধুদের মনে কোরে গলগ্রহ,
দেখাত যে তাদের শুধুই অনুগ্রহ
মনে করত তারা, সাহায্য ছাড়া
দাঁড়ায় না যারা, এক একটি লতা,
বেড়ে ওঠে যেখানে শধুই আওতা;
যারা পায় না রোদের তাপ
না পেলেও নেই কোন অনুতাপ
অন্যের দয়ায় আছে এ ধরায়
বুঝে নিতে শেখেনি কড়ায় গণ্ডায়
হয়ত বা ভোগে হীণমণ্যতায়,
নতুবা এমন পরগাছার ন্যায়
বাঁচে কি ভাবে আত্মসম্মানের ব্যয়ে?

ভাবত নিজেকে পরিণত মহীরুহ
সইতে পারত যে সব দাব-দাহ,
তাই যেদিন প্রচণ্ড ঝড়ে,
রইলেও প্রকাণ্ড কাণ্ডটা খাড়া
শাখা প্রশাখা গেল সব ঝরে
বেচারা পেলনা কুল কিনারা।

যাদের সে করেনে কখনোই স্নেহ
ভাবেনে পাশে দাঁড়াবে এসে কেহ
তাদের সামনেই মাথা হল নত
সব সম্মান হল ধূলিসাৎও
তবু দেখল সেই মাধবী লতা,
যাবার কালের বিদায়ী ব্যথা,
নিয়েও দুঃখে হয়ে তার বিধুর,
সুগন্ধ ছড়াল এমনই মধুর,
নবকিশলয় আবার হেসে
মর্য্যাদা ফেরাল তারে ফিরে এসে।