এ এক সাধারণ প্রেমের গল্প
বলছি ক্রমে ক্রমে অল্প অল্প,
পশ্চিমের পানে অস্তাচলে
দিগন্তের কোলে আদিত্য ঢললে,
আঁধার রাতের শুকতারাটা
যেন একটা ঘড়ির কাঁটা,
টিক টিক কোরে চলার কালে
ঠিক ঠিক প্রহরের হিসেব মত,
জীবন ধারার বিবরণ দিত।
সাঁঝে এলে সে পশ্চিমে আকাশে
লাজে রাঙ্গা দুজনারে বলত হেসে
শৈশব এখন কৈশোর ছেড়ে
যৌবনের পথে রেখেছে পা;
এরপর না হলে সাবধান
মূহুর্ত্তেই হারিয়ে কাণ্ডজ্ঞান
অবহেলায় পরে ভবিষ্যত অদেখা
ক্রমশ: হয়ে অতি ঝরঝরে
অতলে পাঠাবে সম্মানটা।
আরও খানিকটা বাড়লে রাত
মাঝরাতে বসলে চাঁদের হাট
পদস্খলন হয়ে দুজনারই নির্ঘাত
প্রণয়কে ছাপিয়ে বাড়ত সংঘাত।
আর তারাটা কুয়াশার আড়ালে
দেখত কখনো ঝাপসায় লুকালে
ফুরালে মৌচাকে মধু অকস্মাৎ
বিশ্বাসে কেমন আসে বিস্বাদ।
তবে হ্যাঁ,
ঊষায় যখন সে পূব আকাশে
শিশির জমায় সবুজ ঘাসে
প্রৌঢ় প্রৌঢ়াও গেছে খুব দমে;
ভাঁটা ফেলে ভ্রমে
ধীরে ধীরে ক্রমে,
নতুন দিনের নতুন সূর্য
পড়ন্ত প্রেমের বাড়িয়ে ধৈর্য
জ্বলন্ত বাস্তবের দেখাত শৌর্য।