জীবিত ?
নয় বলেই মনে হয়;
না হলে
প্রতিবাদের সময়
কণ্ঠ রুদ্ধ হচ্ছে যেভাবে
টুঁ শব্দটি শোনা যাচ্ছেনা
কেনই বা সে ভাবে?
গুজবে শোনা যায় কেবলি ধড়ে
প্রাণটি রয়েছে এখনও নিথরে
তবুও নয় জীবিত, কবিরাজ নিশ্চিত,
এই নিয়ে সকল ধন্ধ শেষ হয়েও হয়না তো।

মৃত ?
পুরোপুরি হলে
হয়ত বাঁচা যেত;
আর যে ভাবে দেখাচ্ছে তার ছটফটানি,
খাওয়াচ্ছে জনতাকে নাকানি চোবানি
নড়নে চড়নে ধরনে গড়নে
মুক্তি পেতে চায় মানুষে তাই মরণে
সন্দেহের অবকাশ না থাকলেই ভালো হত।

হ্যাঁ, আমি বলছি গণতন্ত্রের কথা,
প্রতি নিয়ত যন্ত্রণার ব্যথা
যাকে নিয়ে আমরা করতাম গর্ব
আকাশটাও ধরব স্বদেশটাও গড়ব
উদ্যান যেমন হয় মরু অঞ্চলে
একদিন মিলে নয় তেমনি সকলে
বহাব জীবনকে নতুন ধারায়
বসবে উত্তরসূরি শীতল ছায়ায়।

তাই তো ভাই শ্মশানতল
অদ্য গন্তব্যস্থল
মৃত শবের যেখানে শেষ হয় দাহ
প্রিয়তম যখন ছেড়ে যায় কেহ।


কাষ্ঠ?
সে তো দেবে ঐ
আমাদের বৃক্ষ,
আমাদেরই সৃষ্ট
অতি ঘনিষ্ঠ;
করেছিলাম যারে রোপিত চারাতে
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আর প্রত্যাশাতে
ভেবেছিলেম গেলে মুকুলে ভরে
ফলেমূলে তারে খাব সবুরে;
আর তা নাহলে বসে তার তলে
শীত গ্রীষ্মে বা বর্ষায় ভিজে জলে
একে অন্যরে জড়িয়ে গলে
বাঁটব সুখ দুঃখ সকলে মিলে;
ঘুণ ধরিয়ে জড়ে আমরাই যখন
খুন করে তারে ডেকেছি মরন
এখন নয় তার ডালপালা দিয়ে
গণতন্ত্রকে চিতায় সাজিয়ে
বিধি সম্মত নিয়ম মত
সারব যথাযথ তার শেষকৃত্য।

ঘৃত?
অবশ্যই তাতে
লাগবে পর্যাপ্ত;
সেই অর্থে তো অভিশাপ কিংবা
কৃত কর্মের পাপ সেই ঘুচাবে;
তারপর চিতাগ্নিতে জাগাবে
আমাদের সকল সুপ্ত ইচ্ছা
হতেই চলেছে বিলুপ্ত যা;
এরপর অগ্নিশিখা হলে মুহ্যমান
কাপুরুষতারে দিয়ে বলিদান
দেখব আবার কেমনে সম্মুখ পানে
সকলে মিলে এগোচ্ছি সমানে।