মা মণি আমার পয়মন্ত
প্রথম দর্শনেই মনে হবে তোমার
যেন শৈত্য প্রবাহ কাটাতে এবার
ধরায় এলো স্নিগ্ধ বসন্ত।

কোন কিছুই ভুবনে
না টিকলেও সমানে
তার মত লক্ষ্মী মেয়ে শান্ত
সত্যি যেন টেকে অনন্ত।

ছুটি ছাটাতে
সময় কাটাতে
সে বাড়ি এলে
নিজ কথা ভুলে
খোঁজ নেয় সকলের
মন ও প্রাণ ঢেলে।

আর অলক্ষ্যে একান্তে
চুপিসারে নিভৃতে
লেখে যেন কিছু খাতা খুলে
প্রথমে ভাবতাম বুঝি রোজনামচা
লিখে রাখে যাতে না যায় ভুলে
তা সে লিখুকগে তার প্রাণ চায় যা।

আর অতশত কি বুঝব আমি
মুখ্যু মানুষ ওসবে কি কামই
দুর্দান্ত যে জ্ঞান ইংরাজিতে তার
বিশ্ব বিখ্যাত হবে গ্রন্থকার।

এসবের মাঝেই জড়িয়ে সে ধরে
একদিন শুধলো বল তো আমারে
লেখাটা হয়েছে কেমন ধারা,
দূর পাগলি জানিস তো বাঙ্গালি
বাবা কে কি একটুও শেখালি
অন্য কোন ভাষা বাংলা ছাড়া?

দেখই না পড়ে ভাল করে
কি এমন আছে তোমার তাড়া?

বাপরে এ তো পলাশ আর শিমুলের কথা
বরকত-রফিক-জব্বার-সালামের গাথা
তর তাজা টাটকা লাল রক্ত
টগবগ করে ফুটছে দেখ তো!

বাবা, পড়াশোনা করলেও ইংরাজিতে
লেখালেখিটা করি বাংলা ভাষাতে
এটা তুমি কি করে ভাবলেই বাবা!
বিস্মৃত হয়ে গিয়ে মাতৃ ভাষা
অন্য ভাষায় ব্যক্ত করব মনের আশা
এও কি ভোলা যায় বাংলা আমার ভাষা।