প্রিয়তমা


জানিনা কি বলে শুরু করব, ঠিক কোত্থেকে শুরু করা যায় ভুলে গেছি এতদিনে। অথচ দেখো, কল্পনায় কত কিছু বলে ফেলি তোমায়, এখন মুখের বাঁধ ভাঙতে বেগ পেতে হচ্ছে খুব। কিন্তু আমি এমনটা ছিলাম না কখনোই সারসের মতোই বলে উঠতাম, যখন যা ভাবতাম বলে ফেলতাম মুখের উপরে। এখন আমার কি আমুল পরিবর্তন দেখো, চুপ থাকি প্রায়শই, খুব একটা প্রয়োজন না হলে কথা বলি না। তুমি ভেবে দেখেছো কখনো, এখন কতটা অপরিচিত আমরা? একটা কথা আছে না, মানুষ পরিবর্তনশীল, আজ আমি তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। দেখো এই বছর তিনেকের মাঝে কত পরিবর্তন আমরা। সেবার তুমি গিয়েছিলে চৈত্রের মাঝামাঝি, এখন চৈত্র গড়িয়ে, বছর পেরিয়ে, পৌষ চলে যায়। সময়টাও কত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়তই। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় গতকালই তো তোমায় দেখেছি, সে আগেকার মত করে তোমার মায়ের পুরনো সেই কমলা-হলুদ রংয়ের শাড়িতে কানে গুজেছো জবা।আবার মাঝে মাঝে মনে হয়, কত হাজার বছর হলো তোমায় দেখি না। শীত শেষে আবার শীতের ঝুম পড়ে যায় তোমায় দেখি না।
আমার একটা কথা জানতে ইচ্ছে করে খুব,তুমি কি আগেকার মতই আছো। নাকি স্বামী সংসারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে জীবন?  কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে যখন স্বামীর টিফিন তৈরিতে ব্যস্ত তুমি তখন কি মনে পড়ে আমার কথা? নাকি দিনভর ক্লান্তি শেষে যখন স্নান ঘরে শরীর বিলিয়ে দাও স্নানের জলে তখন আমায় মনে পড়ে। তবে একটা কথা জানো, আমি চাইনা তুমি মনে করো আমায়। জীবন বড় দুঃসহ, জীবন বড় কঠিন প্রিয়তমা।আমি চাইনা তুমি দুঃখ বাড়াও, স্বামী সংসারে অনেক ব্যস্ত তুমি। তবে আজ বিদায় প্রিয়তমা। আমি যাকে দেখিনা তাকে দেখার স্বাদ কি করে বোঝাবো বল?


ইতি
অপূর্ব