আমি একটি পাকিস্তানের মেয়ে
পেশায় লেখিকা, অ্যাডভোকেট
কানাডা থেকে বলছি...
বলছি শরিয়তী সমাজ, আমার ব্যক্তি জীবন
ও যৌনতার গোপন কিছু কথা।  


তখন ইসলামাবাদে অষ্টম শ্রনীতে পড়ি
হঠাৎ একদিন একা পেয়ে
আমার এক ছেলে বন্ধু আমাকে জড়িয়ে ধরল
চুমু খেল, বুকে হাত দিল
মনে হলো আমার তলপেটের ভিতর থেকে
হাজার প্রজাপতি একসাথে উড়ে গেল
হৃৎপিন্ডের কম্পন অস্বাভাবিক হলো
আমি অবশ হলাম, আমি বিবশ হলাম
সে আমায় ধীরে ধীরে বিবস্ত্র করল
আমি বাধা দিতে পারলাম না
তারপর প্রজাপতির মতো আমার গোপনাঙ্গে
ঢুকিয়ে দিল মস্ত হুল
আমি কঁকিয়ে উঠলাম
দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে এলো
কিন্তু ধাক্কা দিয়ে তাকে সরিয়ে দিতে পারলাম না
বরং তার পথ প্রশস্ত করে দিলাম
মেলে ধরলাম নিজেকে ।


প্রথম সঙ্গম। ভয়ে কাঠ হয়ে ছিলাম
আমি তো এলিট পরিবারের সন্তান নই
যে শরিয়তী সমাজ চোখে পটি বেঁধে রাখবে
নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে আমি
ওরা জানতে পারলে
কশাঘাত করবে, পাথর মারবে
আমার প্রাণটা কেড়ে নেবে।


তার কোন ভয় নেই, সে পুরুষ
সব দোষ হবে আমার
সে আমার শরীর নিয়ে কতক্ষণ খেলল মনে নেই
দুহাতে ইচ্ছামতো দুমড়াল, মুচড়াল
তারপর আধফোটা ফুলের মধু আকন্ঠ পান করে
প্রজাপতির মতই ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল।
ওরা কেউ টের পেল না।


আমি ধড়ে প্রাণ ফিরে পেলাম।
ব্যাথায় কয়েকদিন কুঁকড়ে থাকলাম বটে
কিন্তু আমার নারী সত্ত্বা পেল পুরুষের স্বাদ
সন্ধান পেলাম এক সুখ সাগরের।


পুরুষের ছোঁয়া পেয়ে আমার সুপ্ত কাম জেগে উঠল
আমার শরীরে তুলল আলোড়ন
আমি কামাতুরা হলাম
আমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তার ছোঁয়া পাওয়ার জন্য
অধীর হয়ে উঠল।
আমি সুযোগের অপেক্ষা করতে লাগলাম।


সুযোগ এসে গেল খুব তাড়াতাড়ি
একদিন... দুদিন...  তিনদিন..
আমি নেশায় পড়লাম
ঘনঘন মৈথুন ছমাসেই আমাকেে
কিশোরী থেকে যুবতিতে পরিণত করলো
আমি কিশোর, তরুণ, যুবক, প্রৌঢ়...
সবার নজর কাড়লাম
প্রত্যক্ষে পরোক্ষে  প্রেমের আবেদন আসতে লাগলো।


এক পুরুষের আবেদন স্বীকার করলাম
সে এক মিলনেই দিয়ে গেল দশ মিলনের সুখ
দিয়ে গেল যৌনসুখের নতুন দিশা, নতুন সূত্র
বুঝলাম নতুন বন্ধু মানে নতুন আনন্দ
আনকোরা নতুন সুখ।
সেই শুরু
তারপর নতুন পুরুষের সুখ নিতে
স্কুলের গন্ডী পার করার আগেই
অন্ততঃ এক ডজন পুরুষকে বুকে তুলেছি
শরিয়তী সমাজকে উপেক্ষা করে
বাধা নিষেধের ঘেরাটোপ অতিক্রম করে
জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তাদের ভোগ্যা হয়েছি
কখনো অন্ধকারে, কখনো বোরখা পরে
কখনো কালো কাঁচ লাগানো গাড়ীতে
কখনো প্রেমিকের ফাঁকা বাড়ীতে
কখনো তার বাবার নির্জন অফিসের চাতালে
কখনো বা দুশো ডলার খরচ করে ম্যারিয়ট হোটেলে।


কেন করবো না?
পুরুষ যদি কুমারী ভোগ করতে পারে
তার শরীরে আগুন ধরাতে পারে
তাহলে আমি কেন পুরুষ ভোগ করবো না?
তাই বাবার অনুপস্থিতির সুযোগ পেলেই
নতুন প্রেমিককে ঘরে ডেকেছি
রাতভর মৈথুন করেছি তার সাথে।


হঠাৎ আমার এক আত্মীয়া
পর পুরুষের সাথে ধরা পড়ল এক হোটেলে
ওরা তাকে রাস্তায় চাবুক মারলো উলঙ্গ করে
লজ্জায় আত্মহত্যা করলো সে
আমি নিজের চোখে দেখলাম, ভয় পেয়ে গেলাম
যৌন মিলন কমে গেল কিন্তু বন্ধ করতে পারলাম না।


কি করে করবো? রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘিনী যে
তা ছাড়া চুরি করে রতিমিলনের যে কি সুখ
কি যে নেশা.... যে না করেছে সে জানে না।
নতুন প্রেমিককে নিমন্ত্রন করার পর থেকেই
শরীরে মনে শুরু হয় টানা উত্তেজনা
আর তা চতুর্গুন হয়ে আছড়ে পড়ে
যখন এসে সে ফুলের উপর বসে
সে সুখ কি ছাড়া যায়?


পাকিস্তানে যে পুরুষেরই শয্যাসঙ্গিনী হয়েছি
আমার স্থান হয়েছে তার তলায়
তারা সঙ্গম করেছে অনেকটা জঙ্গলের পশুর মত
পাকিস্তানের কাম সর্বস্ব পুরুষ জানেই না
রমণীকে বুকে নিয়ে রমণ করার কি সুখ!
বিশ্বে পাকিস্তানের মানুষ সর্বাধিক পর্ণ ছবি দেখে
তারা সর্বাধিক কামুক, নারীলোভী ও বর্বর  
কিন্তু মেয়েদের উপরে ওঠা মেনে নিতে পারে না
শরিয়তে নাকি তার অনুমোদন নাই
তাই পাকিস্তানে মেয়েদের স্থান সবসময় পুরুষের তলায়
তা সে দিনের আলোয় হোক  বা রাতের অন্ধকারে
নারী সুসজ্জিতা থাক বা নগ্ন শরীরে
তার উপরে ওঠার অনুমতি নাই।


মুক্ত কাম উপভোগ করি কানাডায় এসে
যখন টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই
তখন সবে কুড়িতে পা দিয়েছি
এখানে যৌন জীবন খোলামেলা
সকলের চোখ বাঁচিয়ে পুরুষকে কাছে টানতে হয় না
মেয়েদের কন্ডোম কেনায় কোন লজ্জা নেই
মধু খাওয়াতে কোন খরচ হয় না
চাবুক খাওয়ার ভয় নেই
ইঁট পাটকেল খাওয়ার ভয় নেই
অনার কিলিং হয় না
এখানে যৌন মিলন এক গ্লাস জল খাওয়ার মতো।


ইসলামাবাদের যৌন অভিজ্ঞতা বড় তিক্ত
সেখানে যৌন শিক্ষার বালাই নাই
মেয়েদের প্রতি সম্মান নাই
যেদিন প্রথম পুরুষের ভোগ্যা হই
তার পরমূহুর্ত থেকে পাকিস্তান ছাড়া পর্যন্ত
একটা ভয় আমাকে সর্বদা তাড়া করে বেড়িয়েছে
শয়নে স্বপনেও পিছু ছাড়ে নি
এখানে যৌন জীবন ভয়শূণ্য
বড় শান্তির। বড় সুখের। বড় উপভোগ্য।