হ্যা আমি মেয়ে ,মেয়ে হয়ে জন্মেছি কোনো ভুল তো করিনি,
আজকে আমার সবে আঠারো;
লোকমুখে কত শুনেছি আঠারো তে নাকি যৌবন আসে,আসে পাহার্তুল্লো বিপত্তি।
বিপত্তি তো তখনই এসেছে,মা হসপিটাল এ,সবে পৃথিবীতে এসেছি আমি।
ডাক্তার কাকু বাবাকে বলে অভিনন্দন আপনার মেয়ে হয়েছে।
বাবা যেন মুখ ভার করে বললো আমার ছেলে দরকার,যে কি না আয় করবে ,মাস গেলে কড়ি কড়ি টাকা দিবে ভরবে আমার ঝুলি,  দিবে বিয়েতে লাখ খানিক পণ, আরও কতশত আবদার ?
দূর থেকে দাদু বললো কি মেয়ে নাকি রে সৌমেন,ভেবেছিলাম ছেলে হবে আর বংশের ওয়ারেস হবে।
মা এর পাশেই শুইয়ে দিলো সেবিকা আমায়,মা আমায় কোলে তুলে নিলো আর দুগ্ধ পান করালো।
মনে একটু শান্তি পেলাম ,পেলাম মা এর কোলে ঠাই।
দিন আসে দিন যাই দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল বেশ কিছুটা বছর।
বাবা দেইনি কখনো পরনের পোশাক,দেইনিকো বইপত্র।
পড়াশোনার যাবতীয় কিছু করতো জোগাড় নানু,
দেখতে দেখতে আজকে পঞ্চম শ্রেণীতে আমি,
নানু একটা সাইকেল দিয়েছে স্কুল এ যাবার জন্য ,স্কুলটা পায়ে হেঁটে ৪০ মিনিট ।
বাবা সাইকেল টা দেখে মুখ ফিরিয়ে বললো মেয়ে নাকি ব্যারিস্টার হবে?
এভাবেই চলে বছর এর পর বছর,দিলাম মাধ্যমিক আর দিলাম উচ্চমাধ্যমিক ও,যাক এবার গ্র্যাজুয়েশন করবো।
কিন্তু ?
চুপি চুপি দাদু ও বাবা নাকি পাত্র দেখে ফেলেছে ,
আমি মেয়ে কি করে সরাসরি অস্বিকার করি, ঠিক ও হোয়েছে দিনক্ষণ ।
আজকে আমার বিয়ে ,আমার লেখনীর মাঝেই হয়ত চেপে রাখলাম আমার ইচ্ছেগুলো ।


নিয়েছি জন্ম আমি মেয়ে হয়ে,
চেপে রাখলাম নিজের ইচ্ছেগুলো লেখনী দিয়ে;
শুরু হলো আরেক নতুন জীবন ,
সয়েছি ব্যাথা মুখ বুজে সইবো ব্যাথা আজীবন।