আমার
চুমুর পেয়ালায় অধর তোমার
অস্থির কম্পনে,
থির-থির উন্মনে--
ধীর বাহুতে ঢালিছ শরাব
বারে-ফিরে ক্ষণে ক্ষণে ।।
তবু
এ কী এ অসীম সাধনা তোমার
অনিমেষ বুকোপরে,
নিঃশ্বাস ঘন স্বরে--
নিবেশ করেছ গ্র'ণে মনন
চাঁদের মতোন করে ।


তোমার
দু'চোখ ভরে এত নীল তবু
কেন চেয়ে থাকো শুনে,
অথৈ আকাশ পানে;
"নীল" এ কী দাও, নাকি নাও?
কেন শুনোতা বাড়াও!
হৃদয়ের মাঝখানে ।


তুমি
চাঁদ থেকে নিয়ে নিলে ঐ রূপ
ফুল থেকে নিলে গান,
গান থেকে সুর--
সুর থেকে সূরা পান।
কে সে দিল গো বাহুতে গ্রহণ
তব
সাধ' এ তো অফুরান !


তোমার
ডালিম-ডাশানো লালাভ অধরে
অধরের কম্পনে,
মধূপের চুম্বনে--
তোমার দু'বাহু জড়ায়েছে
মহা-স্বস্তির আনমনে ।


জানিনা
কেন এতো ভালো
তুমি বাসিছ আমায়,
অস্থিরে আমি হাসি;
তাও কি বিলাসী?
তোমার চোখেতে-- ফুল-ফল সবি
একাকার হলো মিশি।।


তোমার
বুকেতে আছে গো জোছনা সিন্ধু
উপরে "চন্দ্র-তিল"।
সাধে' চাঁদে এতো মিল!
ফুলভূমি তব চাঁদনি রূপেতে
সুন্দরে সুন্দরীল্ ।।


তোমার
হৃদয়ে অথৈ সুরের পেয়ালা--
নেশাখোরী তব মন।
আমি কি "আঙ্গুরবন" ?
লো চাঁদমুখী!
কি দোষে এমন-- আদর-অত্যাচারণ !
আমায়
কি দেখে এমন পাগলিনী হয়ে--
ছুটিলে আমার পানে,
সাধ ও সুরার গানে ।
এমন প্রেমেতে জড়ালে গো কেন
বুকের আগল টেনে ।


তোমার
ঘন নিঃশ্বাস বেরোয় যখন
নাগিণীর মতো করে'
বুক-নাগপাশ জুড়ে--
অনুভব করি
রঙয়ের দুনিয়া, কাঁপে যৌবন ভরে' ।
তুমি
"চন্দ্রাণী"! ওগো "চির-কিশোরী"--
তোমার আঁচল বেয়ে,
আমার প্রেমের পুষ্প-অমরা উড়িছে নিথূল-বায়ে ।
মম "কিশোরাণী"!
ওগো "চির-কিশোরী"!
তোমা-পানে ধরা চেয়ে ।।


আমার
সুখের পালক গুলি ঝরিয়া ঝরিয়া
গেঁথে যায় তব চুলে,
প্রেম গাঁথে বুক-ফুলে;
তাই একের দুঃখ উড়ায়ে বেড়াই
আরেকের অঞ্চলে ।।


২৭-০৮-২০০৯
(দশম শ্রেণীতে থাকতে লেখা)