ইচেছ তোমার বলে ....
সময় যায় সময়ের ধারায়. স্রোতে নদী চলে ,
চাঁদ হাসে দূর আকাশে , বাগান ফুলে ফলে ॥


শখের বশে সৃষ্টি গড়ো
তাতে আবার বিভেদ করো
একে ছাড়ো ওকে ধরো, ইচেছ তোমার বলে॥
সময় যায় সময়ের ধারায়. স্রোতে নদী চলে ,
চাঁদ হাসে দূর আকাশে , বাগান ফুলে ফলে ॥


তোমার খেলায়  আমি  খেলি
তোমার দয়ায় চোখ মেলি
আমি বলি , পথ চলি , ইচেছ তোমার বলে ॥
সময় যায় সময়ের ধারায়. স্রোতে নদী চলে ,
চাঁদ হাসে দূর আকাশে , বাগান ফুলে ফলে ॥
======
ঘুম
আজ বৌকে ভেবে রাকতর ঘুম হারাম হয় নাই।দিন মাস বছর না দেখলেও
কাটেনা একটিও বিনিদ্র রজনী । বাস স্টান অলি গলিতে  
অপেক্ষায় মশার কামঢ় খেয়ে কখনো অসুস্থ হয়নি।


নিবিড় ভাবে পাওয়ার চরম উত্তেজনায় হাত পা কাপে নাই ।


কিন্তু এর বিপরিত তৃনার ক্ষেত্রে ......।




############
আবীর  এখন ইউ এস বাংলায় .. মাঝে মাঝে ওর ফেসবুকে স্ট্যাটাস পড়ার সময় সমস্ত  হৃদয় জড়ে একটা ঢেউ বয়ে যায় । মনে হয় সুদর অস্টলিয়া উপকুল যে প্রমত্ত ঢেউয়ের উৎপত্তি তা সমম্ত প্রসান্ত মহাসাগর জুড়ে তীব্র থকে শক্তি সন্চয় করে আমার দিকে ধেয়ে আসছে । পথে শ্রীলংকা উপকূলে সৃস্ট প্রলয়ঙ্করি ঘুণিঝড়ের সাথে মিশে প্রচন্ড ধ্বশাক্ত শক্ত নিয়ে আছড়ে পড়ে বাংলাদেশ নামক তৃণার হৃদয়ে । এত ... কস্ট সহ্য করার শক্তি আমার নেই । বেলা ভমি থেকে অনেক দুরে  ভোরে গজিয়ে উঠা কচি তৃণা বালি চাপা পড়ে মূহূতই। এই আমি  সকালে সোনার আলোয় উদ্ভাসিত করতে চেয়েছিলাম সারা পৃথিবী । চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রী হিসাবে অনেক স্বপ্ন ছিল,ছিল সার্মথ্য। কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেল সেদিন। যখন পিছনে চলা আধো পরিচিত জনের ফিসীফস কথা কানে আসতো “ ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার দারুন কাপোল”। বাক্যটি অস্পস্ট হলেও  কত গর্বো হতো বুকটা ভরে যেতো আনন্দে । হৃদয় গভীরে বরফ জমাট বাধাঁ  আজো অপ্রকাশিত ঘটনাবলীর কারণে আমার পৃথিবীটাই বদলে গেল । পেন্ডুলামের কাটা হয়ে দুলছি ।
নেপালে দূর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর থেকেই অস্থির লাগতে শুরু করে । কার কাছ জানতে চাইবো ফ্লাইটে আবীর ছিল কিনা । হয়তো এই ঘটনা আরো কিছুদিন আগে ঘটলে আমার কাছেই প্রথম কল আসতো । হয়তো সমুহ বিপদ ঘটার সম্ভবনা  আচঁ পারলেই  টেক্স আসতো “খুব বিপদে আছি দোয়া করো ”। অলপদিনেই ফ্লাইট ইন্জিনিয়ার হিসাবে অনেক সুনাম অর্জন করেছে।


###
হালকা বৃস্টি মাথায় নিয়েই অফিস থেকে বের হয়েছি।ইফতারের খুব বেশী সময় আর বাকি ছিলনা।কাছাকাছি কোন রেস্টরেন্ট বসেই ইফতার করার ইচ্ছে ছিল। কাছাকাছি কোন রেস্টরেন্ট ই বসার মতো ফাকা জায়গা পায় নাই।ময়ুখকে বলেছি আজকে হয়তো রাস্তায় দাড়িয়েই ইফতার করতে হবে।সারাদিনের গম্ভীরভাবটা অফিস থেকেই বের পর থেকেই একটু একটু স্বাভাবিক হয়েছে।সারাদিন অফিসে অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলাম।এখন কোথায় বসেই ইফতার করবো। জানি স্টার কাবাবে এখন কোন জায়গা ফাঁকা পাওয়া যাবে না।তারপরও সেখানে গিয়েছি।একতলা,দুইতলা ও তিনতলায় কোথায় দাড়ানোরও জায়গা নেই।তিনতলায় কোন একটি সংঘঠনের ইফতার পার্টি চলছে । ওদের সাথে বসতে গিয়ে আবার চলে এসেছি।একতলা থেকে তিনতলা কয়েকবার উঠানামা করতে করতে ঘামে সারা শরীর ভিজে গিয়েছে।মসজিদের মাইক থেকে মাগরবিরে আজান ভেসে আসছে । বসার জায়গাও পাইনি কোন ইফতারও কিনতে পারি নাই।ময়ুখের ব্যাগে কিছু খেজুঁর ছিল।তা মুখে দিয়ে রোজা ভেঙ্গেছি । তারপর কিছু ইফতার কিনে আবারও জায়গা খোজঁতে থাকি। শেষে দু’তলায় একটা গ্রুপের সাথে বসে আমাদের প্যাকেট বের করতেই, ওরাও দুইটি প্লেট এগিয়ে দিয়েছে।বারবার না করার পরও বলল এগুলো বেশী হয়েছে।বেশ কয়েকজন জ্যামের কারনে আসতে পারে নাই। অবশেষে তাদের ইফতার নিতেই হয়েছেে। আইটেম এতবেশী ছিল যে দুইজনে মিলেও শেষ করতে কস্ট হয়েছে। গরমের কারনে দ্রুত খাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছি। তারপর তিন নম্বর রোড় ধরে হাঠতে থাকি এমন জায়গার খোজে যেখানে বসে চা পান করা যায়।



বেঞ্চ থেকে পড়ে যাচ্ছি......।
দুজনের  মাঝে ঐ রকম দুরন্ত থাকলে বিপদ হতে পারে । হাত বাড়িয়ে ওভাবে পিঠে না ধরলে তো পড়েই যেতাম । পিঠে হাতটি পড়তেই সারা শরীরে একটি শিহরণ বয়ে যায় ।
শক্ত জমিনের উপর শির সোজা করে দাড়ানোর একটা মজভুত ভিত্তি খোঁজে পাই ।



সকালে সালাম দেওয়ার পর প্রতি উত্তরটি অন্যদিনের মতো হাসি মাখানো ছিলনা।
রাতেই আশংকা করেছিলাম ওর মন  একটু ভার থাকতে পারে । কিন্তু এতটা গম্ভীর থাকবে তা ভাবনাতেই ছিল না।


মিটিং থেকে ফিরে টেবিলের সামনে দাড়ানো দেখে গত রাত থেকে শুরু হওয়া রাগ মর্হুতেই পানি হয়ে য়ায় ।  



মোবাইলে তখনো ময়ুখের সাথে কথা বলছি ।
এমন সময় একটি টেক্স ল্যাবটবের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো “আপনাদের বিবাহ বিচ্ছেদ আইনগতভাবে অবৈধ”।


ও  মাঝে মাঝে দুস্টুমি করে  আবৃত্তি করতো ......


তৃষার চোখের মায়াবী পলক
টোল পড়া গালের...  ঝলক
তৃষায় তৃষিত হয়ে .........
আমি থামিয়ে দিয়ে বলতাম  ‘আমি তো তৃণা “
আরে জানি লক্ষিসোনা ... তৃণার জন্য তৃষিত হৃদয় ।


**********
০৭-০৪-২০১৮


ময়ূখ......  অনামিকায় একটু ছোয়া লাগতে সারা  শরীর...।। শিহরণ জেগেে উঠে । চোখ পড়......।।চোখের দিকে । মায়াবি মুখটা আরো মায়াবী হয়ে ... ভালোবাসতে আহবান জানায় ।  
টোল পরা গালের ঢেউ ছড়িয়ে পর......... ।


হাসি মাখা মুখে জানতে চায়। ওমন করে, কী দেখছেন ? কছিু দেখছিনা ভাবছি ।


সোহাগের খবর কী ? প্রশ্ন করতেই......। হাসি খুশী ভরা মুখটিতে বিষাদের ছায়া এসে ভর করলো ।


অফিসের কাছেই বাসা । কাজ শেষে বাসায় না গিয়ে ...... আসে পাশের দাড়িয়ে থাকা গাছ গুলিতে অনেক পাখি এসে রাতের আশ্রয় খোঁজে নেয় । কিচির মিচির পাখীর ডাক শুনে শুনে আর হেড ফোনে গান শুনে অপেক্ষার প্রহর ......।।


সময়টা  এমন ছিলনা । এইতো দুই বছর আগেও ধানমন্ডীর বাসা.........।
বিয়ের পর দুজনের ছোট্ট সংসার.........।
মাঝে মধ্যে রাত গভীরে লং ড্রাইভ-এ অজানা গন্তব্যে বেড়িয়ে পড়া। রাস্তার ধারে গাড়ী থামিয়ে বড় ফ্লাক্স এর চা বিক্রেতার কাছ থেকে চা পান করা। আবার কখনো বট-পরাটা খেয়েছি।  


শূক্রবারে অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠতাম। রাতের সুখানুতি কাটতে  অনেকটা বেলা
গড়িয়ে যেত । আলসামো ভেঙ্গে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করতো না ।সারা সকাল শরীর জুড়ে আবীরের আবীর মাখানো সিগ্ধ পেলব লেগে থাকতো । নাস্তার টেবিলে ঝিমুনি ভাব নিয়ে কিযে খুনসুঠি হতো দুজনে । হাসতে হাসতে গায়ের উপড় ঢলে পড়তাম। হালাকা করে দু গাল ছুঁয়ে দিতো পরম মমতার মাধকতায়  ।