সব সময় জগৎ পিতার কর প্রশংসা,
মানব জাতির প্রতি স্রষ্টার এটাই আশা।
এ জগতের সৃষ্টিকর্তা মহান পিতা ঈশ্বর,
আমরা সবাই তাঁর বিনম্র অধিশ্বর।


পিতা ঈশ্বর করলেন সৃষ্টি জগতের সব কীর্তি,
মানব সন্তানকে দিলেন তিনি আপন প্রতিমূর্তি।
আদম হবাকে করলেন সৃষ্টি তিনি  আপন মনে,
তারা দিল ব্যথার ডালা তাঁর সরল প্রাণে।


নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়ে তারা করলো পাপ,
মানব জাতি পেল তাই কষ্টের অভিশাপ।
নারী সন্তান জন্ম দিবে কষ্ট সহিষ্ঞুতে,
এটা হল পিতা ঈশ্বরের ব্যথিত আদেশে।
তাদের পিতা তাড়িয়ে দিলেন স্বর্গরাজ্য থেকে,  
তাইতো মানব মানবী এলো এই পৃথিবীতে।  



    


মানব জাতির প্রতি দয়া, দেখাতেন সর্বদা,
সব সময় তিনি ছিলেন মানুষের প্রতিচ্ছায়া।
মানব জাতি ভুলে যেত পরম পিতাকে,
পিতা কিন্তু ভুলেন নাই মানব জাতিকে।
স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব এই মানব কুল,
আসলো এই পৃথিবীতে করে চরম ভুল।
যুগে যুগে পাঠালেন তিনি কত আলোর পথ,
ভ্রান্ত পথে না যায় যেন মানব জাতির মত।  
মথি থেকে দায়ূদ পর্যন্ত অনেক নেতা এলেন,
পিতা ঈশ্বর তাদের দ্বারা প্রচার করে গেলেন।
সঠিক পথ ও আশীর্বাদ মানব জাতিকে দিতেন,
ভাববাদীর  মাধ্যমে পিতা সঠিক ফল পেতেন।


তবুও মানব জাতি অকৃতজ্ঞ ছিল,
এজন্য পিতা ঈশ্বর মহান চিন্তা নিল।
আজ থেকে অতিক্রান্ত দু’হাজার বৎসর আগে,
মানব প্রেমের খ্রীষ্ট যীশু জন্মিলেন এ ভবে।
কনকনে এক শীতের রাতে জন্মিলেন তিনি গোশালায়
তাঁর আগমন হয়েছিল পিতা ঈশ্বরের সদ্ইচ্ছায়।
মানব প্রেমের রাজা হয়ে জন্ম নিলেন দুঃখী বেশে,
সকল মানুষের মুক্তির জন্য তিনি এলেন এ পরিবেশে।



জগৎ পিতার পুত্র হয়ে তিনি হলেন দুঃখী,
এ জগতে সবই সম্ভব পিতাই মোদের রক্ষী।
মানব জাতির আদি পাপের মুক্তি দিতে তিনি,
জন্ম নিলেন এ জগতের বিশ্ব রাজা যিনি।
সৃষ্টিকর্তার মহিমার্থে তিনি গেলেন গান,
মানব প্রেমের এমন গাঁথা যেন জলের বান।
গরীব দুঃখী, ধনী নির্ধনী সবার তরে যিনি,
গেয়ে গেলেন মানব কূলের মুক্তির কথা তিনি।
ধন্য ধন্য প্রভু যীশু, ধন্য মহান সৃষ্টি কর্তা,
তোমার তরে রইলো মোদের প্রশংসার বার্তা।
যে বন্ধনে করলে তুমি মোদের আবদ্ধ,
তাতে হল মানব জাতি গভীর নিবদ্ধ।
জীবদ্দশায় পিতার কাজ খ্রীষ্ট দেখিয়েছেন,
পিতার ভক্তিতে অনেক মানুষ খ্রীষ্টে মজেছেন।
মানব জাতি বুঝলো নাকো তাঁর কথার মালা,
তিনি ছিলেন মানব জাতির ভালবাসার ডালা।



নিঃস্ব হয়ে এলেন তিনি জীবন দিয়ে গেলেন,
মানব জাতি তাঁর জন্য পাপ মুক্তি পেলেন।
খ্রীষ্ট প্রভুর জন্ম হল অজ্ঞাত এক গোশালায়,
তিনি এলেন এ জগতে এক অনাড়ম্বতায়।


পিতা ঈশ্বর খ্রীষ্টের কথা জানালেন মারীয়াকে,
সন্তানের মাতা হলেন তিনি নিজের অজ্ঞাতে।
ভয় পেলেন কুমারী মারীয়া বিশ্ব রাজার মাতা,
পিতা তাঁকে ভরসা দিলেন পাঠিয়ে রক্ষক বারতা।


সাধু যোসেফ পেলেন ভয় করতে মারীয়াকে গ্রহণ,
পিতা তাঁকে দিলেন নির্দেশ হতে চির মহান।
যীশু যখন জন্ম নিলেন দেখতে এলেন দূতেরা,
গভীর রাতে শীতের মধ্যে আরো এলো রাখালেরা।
মুক্তিদাতার জন্ম তিথির বাজনা বেজে উঠলো,
স্বর্গ থেকে সেই মুহূর্তে ধ্বনি নির্গত হল।


নতুন একটি তাঁরা উঠলো রাতের আকাশে,
তিন পন্ডিত খুঁজতে বের হল পথচারী বেশে।
যীশু রাজাকে পেয়ে প্রণাম জানালেন,
স্বর্ণ, কুন্দুরু, গন্ধরস তাঁরা উপহার দিলেন।
জন্ম নিলেন পুত্র যীশু অজ্ঞাত এক গোশাল ঘরে,
পুত্রকে দান করলেন পিতা মানব জাতির তরে।
শান্তির রাজা প্রেমের রাজা জন্মালেন পৃথিবীতে,
যীশু খ্রীষ্ট বড় হলেন পিতার কাজ করতে।
আশীর্বাদের বর্ষণ নিয়ে তিনি এলেন পৃথিবীতে,
মানব জাতি গাও তাঁর জয়গান কৃতজ্ঞ হৃদয়েতে।
কিন্তু যীশুর জন্ম কেন এই কথা কেউ ভাবে,
মানুষের তরে ক্রুশ মৃত্যুতে পাপ কি মুক্তি পাবে!
তেত্রিশ বৎসর জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন মহান,
ক্রুশ মুক্তির জীবন ছিল মানব জাতির বাহন।
মানব জাতি চিনলো নাকো তাদের রাজাকে,
ভালবাসলেন যাদের তিনি, দিলো সাজাতে।
পিতা পুত্র পবিত্রাতা এই ত্রিত্বের ফলে,
মানব জাতি মুক্তি পেল তাঁর মৃত্যুর বলে।



পিতার কথা বলে গেলেন খ্রীষ্ট জীবনপাতে,
স্বর্গদ্বার উন্মুক্ত হল মহান স্রষ্টার মতে।
মানব কুলের প্রতি পিতা, ছিলেন সর্বদা উদার,
তাইতো তিনি করলেন মোদের, পাপ থেকে উদ্ধার।
পিতার সাথে মানব জাতির সম্পর্ক গড়তে,
তিনি ছিলেন মধ্যমা, তাঁর জয়গান করতে।
প্রেম ও শান্তি স্থাপন করতে তিনি হলেন মত,
সবাই আজ জেনে গেল পিতাকে জানার পথ।


অন্ধকে দৃষ্টিদান, খঞ্জকে সুস্থ্য করে,
সৃষ্টিকর্তার গান গেলেন মানব প্রেমের তরে।


মানব প্রেমে তাঁর কথা ছিল অসাধারণ,
জীবন দিলেন মানবের তরে শুনায় বড় করুণ।
মানব প্রেমের ডালা নিয়ে তোমরা থাক তুষ্ঠ,
শান্তির রাজা, প্রেমের রাজা, মোদের যীশু খ্রীষ্ট।
খ্রীষ্ট শিখালেন মানব প্রেম যা চির অম্লান,
তিনি হলেন প্রেমের রাজা তাঁর জীবন মহান।


ঘরে ঘরে পিঠা পায়েস কেক মিষ্টির সমাবেশ,
আবাল বৃদ্ধ বনিতা আজ মেতে আছে বেশ।
বাংলাদেশের খ্রীষ্টানরা আনন্দে মাতিছে ভাই,
মানব জাতির মুক্তিদাতা খ্রীষ্টের জন্ম তাই।


পিতা ঈশ্বর মানব কুলকে সর্বদা দয়া করেন,
তাইতো পিতার শ্রেষ্ঠ জীবকে আশীর্বাদে বরেন।
সৃষ্টিকর্তা মানব জাতিকে ফেলেন পরীক্ষায়,
এভাবে তিনি দেন ফল, জীবনের শিক্ষায়।
এসব থেকে বুঝে নাও পিতার মহাশক্তি,
তিনি ছাড়া আর কাউকে করনাকো ভক্তি।
খ্রীষ্টযীশু জন্মেছেন আজ মোদের ধরণীতে,
আনন্দে হও মাতোয়ারা এ শুভ বড়দিনে।


আজ মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন,
সবাই নতুন দিনের আলোর স্পর্শ নিন।
গরীব দুঃখী সকল মানুষের  সবার তরে,
ছড়িয়ে দিতে পিতার কথা ঘরে ঘরে  ।
প্রেম ও শান্তি দিতে সবার হৃদয়ে
সবার মন প্রজ্বলিত হোক আনন্দে।
বড়দিনের আনন্দের স্পর্শে থাক সবাই
এ মহান দিনে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাই।