এই যে নিশিতে,দুর পবনে
আবছা আলোর ভীড়ে,তাকিয়ে বহুদুর
কোথা তুমি হায়,আসিলে না তো আর
সেই যে গেলে চলে।


কত রাত্রি কেটে আসে তবু ভোর
পাখিদের কিচিরমিচির শব্দের শুরু হয় তোরজোর।
ঘুমন্ত শিশুটিকে জাগিয়া তোলে জননী
উঠে যা খোকা,কাটিয়া গেছে রজনী
ঐ যে ভেসে আসে দুর হতে  আযানেরও ধ্বনি।
সারাদিন ছুটে ফিরে,ছোট্ট খোকাও আসে ঘরে
পরম আদরে কাছে টেনে নেয় "মা" মমতার চাদরে।
সেই কবে এক ভোরে,বলেছিলে দিবে দেখা
শালিক কিংবা চড়ুই হয়ে আসবে তুমি একা
দিবস কাটিয়া নামিয়া আসে আধার
ঝিঁঝিরাও ফেরে নীড়ে,ডাকিয়া চলে অবিরত।
শুধু তুমি হীনা
কোথা তুমি হায়,আসিলে না তো আর
সেই যে গেলে চলে।


শীতের কুয়াশাও হয়ে আসে বিলীন
সূর্যের খরতাপে
ঘাসের ডগার শিশির বিন্দুও উবে যায় তাহাতে
ধীরে ধীরে যায় কেটে এ শীতের আবহ সকাল
দুর থেকে সাধিতেছে বসন্ত
শোনা যায় যে কোকিলের কলতান।
শোন নি কি শুধু তুমি আমার আর্তনাদ
সব যে আসে আবার ফিরে,আপনত্বের টানে
সেই যে তুমি গেলে চলে
ফিরে তাকালে না আর এ মুখপানে।


হইলো এ ধারা সুখময়,সব এলো নীড়ে ফিরে
সেই যে গেলে চলে তুমি,আসিলে না তো আর ফিরে।