আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে ।
নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তুমার কাছে ?
-হাত দিও না আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে ।
বললো কেঁদে তিতাস নদী হরিণবেড়ের বাঁকে
শাদা পালক বকরা যেথায় পাখ ছাড়িয়ে থাকে ।
জল ছাড়িয়ে দল হারিয়ে গেলাম বনের দিক
সবুজ বনের হরিৎ টিয়ে করে রে ঝিকমিক
বনের কাছে এই মিনতি, ফিরিয়ে দেবে ভাই,
আমার মায়ের গয়না নিয়ে ঘরকে যেতে চাই ।
কোথায় পাবো তোমার মায়ের হারিয়ে যাওয়া ধন
আমরা তো সব পাখপাখালি বনের সাধারণ ।
সবুজ চুলে ফুল পিন্দেছি নোলক পরি না তো !
ফুলের গন্ধ চাও যদি নাও, হাত পাতো হাত পাতো-
বলে পাহাড় দেখায় তাহার আহার ভরা বুক ।
হাজার হরিণ পাতার ফাঁকে বাঁকিয়ে রাখে মুখ ।
এলিয়ে খোঁপা রাত্রি এলেন, ফের বাড়ালাম পা
আমার মায়ের গয়না ছাড়া ঘরকে যাবো না।


(কাব্যগ্রন্থ : পাখির কাছে ফুলের কাছে । প্রথম প্রকাশ : জুন ১৯৮০।)