কথা ও গান
******
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন
*****
পরিসংখ্যান মাপে জীবনের পরিণতি।
সরকার দেখে কত হল ক্ষয় ক্ষতি।
হিসেব করে সংখ্যা দিয়ে।
কেউ দেখে না মানবিকতা নিয়ে।



সাংবাদিক প্রচার করে সংবাদ।
প্রেমিক পায় খুনির অপবাদ।
চোরের দল দেখো দালাল সেজেছে মনের।
কশাই মালিক হয়েছে প্রাণের।
তারা এখন সার্টিফিকেটের মালিক।
কার আছে আখলাক কে খালিক?
পশুরা হয়েছে মানুষের মালিক।




মানুষ তো পশুর চাইতে কম নয়
এই পশুদের দেখলেই তো ভয় হয়।
মন এখন বুঝেনা কিছু।
জানেনা কেউ কোথায় কি হয়।



জীবন আমার হিসেবের খাতাতে গণনা হয়।
রাস্তাতে মানুষের এতো কেন ভয়?
কেন আজ চোরদের হয় জয়?
এই প্রশ্ন বার বার লেখা হয়।




এই দেখো।
পাহাড় ধসে জনগণ মরেছে শতক।
তারা তো পাবে সরকারি ভিক্ষা কতক।


শেষ সংবাদ জানতে সাংবাদিকের চোখ হয়েছে চাতক।




কথা ও গান।
যতো পারেন লিখে যান।
যতো পারেন ডাইরির পাতা নষ্ট করে যান।
কে হবে মহান।
কে হবে কবি?
কে দিবে সম্মান?
কার কাছে আছে সেই বস্তু পাহাড় সমান?




মানুষ গুলো মরে ভবনের নিচে।
হাজার মানুষ মরলো।
কার কি আসে গেলো।
সাংবাদিক একটা গরম সংবাদ পেলো।
কবি কবিতা পেলো।
বিধবা মা এসে দেখে তার সন্তান কোথায় গেলো?
তার সন্তান তো নাই।
হায় হায় লাশটা কোথায়?
সে তার কলিজার লাশ চায়।
সন্তান বাচে পিতাকে খোজার নেশায়।
কোথায় তার পিতা।



আমজনতার জীবন যেনো ইট কাঠের মতো বস্তু।
সব জায়গাতেই সস্তাদর আর খারাপ অবস্থা।
গরীব মানুষগুলো পশুর মতন।
কখনো কেউতো করলো না তাদের যতন।



গননাতে তার সবার আগে আসে।
পৃথিবী রক্তাক্ত হলো তাদেরি লাশে।
কত আছে গরীব, তাদের কতজন বেকার।
এই নিয়ে সরকার করে হাহাকার।
কতো বড় বড় হয় পরিসংখ্যান।
ম্যাগাজিন প্রকাশ পায় হাজারখান।



গরীবখানা খুলেছে কোন দেশ।
এই খবর তারা জানে বেশ।
তারা নাকি রক্ষা করে মানবাধিকার।
এই বাক্যজাল দিয়ে করে চিৎকার।



আমার কলম করেছে বিদ্রোহ।
প্রেমের কবিতা লিখতে নাকি তার ভয় হয়।
চারদিকে দেখো খোলা হচ্ছে বেশ্যালয়।
এই দেখে গরীব পিতার মনে জাগে ভয়।
তরকারির বাজারে এখন মানুষ বিক্রি হয়।
গরীব সন্তানের কে খবর লয়।
কে জানে গরীব পিতার সন্তান কেনো বেশ্যা হয়।
কে তাকে দেখালো পতিতালয়?
কার পদধূলি তে পতিতালয় আবাদ হয়।