কত শত পড়ে
বিদ্যা করেছি অর্জন।
তার পর এসেছে সার্টিফিকেট
এ প্লাসধারী কারো মাইনাস।
কারো পুরেছে কপাল।।
"
এখন তো সবাই মেধাবী চরম।
মেধা আর সার্টিফিকেটে সব গরম
লোহা গরম থাকতেই হাতুরী পিটাতে হয়।
তার পর তেজ হাড়ানোর ভয়।
কি যে কি বিপদ হয়।
"
"
"
বিদ্যার ভার ।
সইতে নাহি পারে আর।
সবকিছুতেই নিয়ম শুধু মুখস্ত করার
'
:
মুখস্ত বিদ্যা ।
সার্টিফিকেট দিল ।
দিল এক সম্মানীত উপাধি।
'
'
বিদ্যার ভার সইতে পারে না ।
ছাত্রটা তাই ধোয়া ছাড়ে আকাশে।
রাস্তার ধারে 'গলির মোরে দাড়িয়ে।


হালকা করে মন ও মগজ।
ধোয়া টানার কি প্রশান্তি।
এটাকে কেউ কেউ সুখটান বলে।
'
'
সুখ টানের সাথে চলে কবিতা আবৃতি
গান গাওয়া হয় প্রেমিকের মত।
রাস্তার বখাটে বলে ডাকে কেউ কেউ।
'
'
রাস্তাতে নারী 'কিশোরী হাটলে।
কেউ একটু কাছে এলে।
গান এসে সুর তুলে যুবকের গলে।
কত মধুর গান সুরবতী।
একটু শোনে যাও লক্ষী যুবতি।
"
"
এটাই মুখস্ত বিদ্যার মস্ত ভার।
তাতে আছে অনেক আধার।
ভার সইতে না পেরে।
হালকা হওয়ার চেষ্টা সবার।
কত টুকু পারি হালকা হতে?
"
"
পাঁচ বছরের বালক।
কাধে বই তার দশ কেজি।
বহন করে চলেছে সে ।
একটা ভারি সার্টিফিকেট পেতে
বলতে হবে সে হতে চায় ডাক্তার।
এটা হতেই হবে জীবনের চাওয়া।
"
'
মুখস্ত বিদ্যাধারী সমাজ।
ছাত্রদের শুধু একটাই কাজ।
শুধু পড়ে যাও।
কশাইয়ের মত ডাক্তার বানাও।
বুদ্ধিজীবি বানাও গরুর মত।
যত ঘাস আছে খাবে সে।
রং দেখতে তার মানা আছে।



"
বিদ্যার ভারে আমরাও ভারি।
বিদ্যার ভারে নত হয় না মাথা।
উচু হচ্ছে আরো
হচ্ছে আদবের কারবারি।
সবাই সার্টিফিকেটের বেপারী।
'
'
আমরা সুখ টানি ।
স্যার কি করে সবাই জানি।
চাকরি পেতে করতে হয় হয়রানি।
এসব বিদ্যার ভার।
ভারের কষ্টে দেখি আধার



যার মামা আছে ।
সে তো সুখে আছে।
এটা অঘোসিত ইতিহাস।
মামা নাই যার ।
জীবনে সুখ নাই তার
হল জীবনের সর্বনাশ।
'
যার মামা নাই।
তার সার্টিফিকেটে ওজন নাই।
তার বিদ্যার ভার নিতে হবে একাই।
করতে হবে যুদ্ধ ।
থাকতে হবে স্বপ্নে আবদ্ধ।