আমার একটা নিয়ম আছে।
নিয়ম ভঙ্গের নিয়ম।
একটা আইন আছে।
ভঙ্গ নিয়মের আইন
"
'
সে আইনের আছে ভার ।
তাতেই কবিতা হল হাজার।
সুর হল বাজল সেতার।
'
'
কবি একটা নিয় বানালো।
নিয়ম গুলো ভঙ্গ করে ।
অনিয়মের কথা দিয়ে তৈরী।
নতুন একটা নিয়ম।
'
'
কথা আর ব্যাখ্যা গুলো আলাদা।
যেমন তোমরা কর তেমন নয়।
'
'
তোমরা যখন নিয়ম তৈরি কর।
কত কিছু ভাঙ্গ গড় ।
বার বার একই জিনিস হয় পরিবর্তন।
সং ওয়ালা বিধান যার নাম।
'
'
তোমরা যে কবিতা লেখ।
ইংরেজী কাঠামোতে বাংলার সুনাম
কত যে তোমরা কর অহংকার।
নকল করার অভিনব কায়দা আছে তোমার
'
'
কত নিয়ম হয় ।
আবার তোমরাই কর ভঙ্গ।
আমরা কিছু বললেই
ষারের মত আসো মারতে।
নিয়মের জালে চাও আটকাতে
'
'
একটা নিয়ম গড়বো
সংসাজানো নিয়ম ভেঙ্গে
একটা কবিতা লিখবো।
অনিয়মের সহজ ছন্দে।
বানান ভুল হোক তাতে কি ।
সেখানে সং থাকবে না।
থাকবে না কোন মুর্খ পন্ডিত।
থাকবে না মুখোশে ঢাকা চোখ।
থকবে না তোমাদের কোন স্থান।
থাকবে মানবতার জয়গান।
"
"
একটা নিয়মের পাচাঁলী লিখবো।
তোমাদের পাচাঁলী নষ্ট করে।
সব কিছুর ই শুরু ছিল।
আজ না হয় আমরা শুরু করবো
'
একদিন এটাই পুরাতন হবে।
হবে প্রচলিত ধারা ।
বাংলা গানে 'লালন সংগীতে
পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের মত।
এটাও নয়তো অন্য কিছু হবে।
"
"
তোমরা না হয় সঠিক টাই গড়লে।
আমরা না হয় ভুলটাই শিখবো।
ভুলটাকে আকরে ধরে বাচবো।
"
"
সবাই নতুন নিয়ম গড়ে।
সং সাজে ঢং করে ।
নতুন আইন বানাতে পটু।
আমরা না হয় একটা অনিয়ম গড়বো।
একটা বস্তা বানাবো সস্তা বইয়ের।
একটা কবিতা লিখবো ছন্দপতনের
.
নিয়ম তৈরি করবো
নিয়ম ভঙ্গ করে ।
তোমাদের ঐ সংসাজানো নিয়ম।
কবিতার ভাষা হবে আমাদের মত।
তাদের কিছুই থাকবেনা সেখানে
তোমাদের মুখোশ আর থাকবে না
'
'
কত কিছুই তো হল।
কত নিয়মের প্রতারণা।
কত অনিয়মের প্রচারনা।
তোমরা কি পেরেছ থামাতে?
না এই অগ্রযাত্রাকে পারবে থামাতে।
তোমাদের কিছুই করার নেই।
তোমরা শুধু বসে বসে দেখতে জানো।
তোতা পাখির মত বলতে জানো
বলতে বলতে সময় গেল চলে।
ইতিহাস ও এখন সাজানো কথা বলে
তোমরা যা শিখিয়ে দাও।
সেটাই বাজে তোমরা যা বাজাও
সেটাই বলে তোমরা যা বলাও।
'