===========
তেলবাঁজ জনগনে ভরেছে দেশ।
কেউ তেলমারে কেউ তেল গিলে।
কেউ তেল খোঁজে ।
কেউ বেদিতে বসিয়ে পূঁজে।
দেবতার আসনে বসায় কেউ।



তেলবাঁজ নেতা।
তেলবাঁজি কথা ।
তেলে তেলে তেলময় ।।
কখন বুঝি বিপদ হয় ।।
এটাই জনগনের ভয় ।।



তেলবাঁজ সাংবাদিক ।
খবর ছাপে সাংঘাতিক ।
জোক করে বহুমাত্রিক।



তেলবাজেঁর তেলা রোগ।
সব কিছুই করতে চায় ভোগ।
ভোগের নাই শেষ।
এটাই সুখি বাংলাদেশ।



তেলবাঁজিতে যে ওস্তাদ।
তাকে আমরা বুদ্ধিজিবী বলি।
তেল যার মাথায় কম ।
তাকেই আমরা দেই বলি।।
পাঠার মত বলি দেই।
পাপ শুদ্ধি করি।।
পূণ্যবাণ হই।



তেলের দোকান যার।
তাকে আমরা লেখক বলি।
আধুনিক সুশীল লেখক ।
যে সমাজ তেল মাখে ।
তাকে সুশীল সমাজ বলি।



কেউ তেল দেয় ।
কেউ তেল নেয় ।
যে পারেনা তেল মাজিতে।
বৃথা তার জীবন।।



তেল এক ক্ষমতাবান শব্দ।
এর ব্যাবহার সবাইকে করে জব্দ।



তেল দিয়ে ভরেছে দেশ ।
তেল বাজিঁর নেইকো শেষ।


জনগনের ই যত ভয় ।
যখন ভোটের সময় হয়
জনগনকেও তেলের সাগরে ভাসতে হয়।
ভেজাল তেল মেখে শেষে।
অসহায় জনগন শুধু হাসে।



প্রশ্ন করে জনগন।
কি হবে শেষে?
কি চলছে এই দেশে?
কে পায় সাজাঁ।
কে হয় রাজাঁ।



কে পায় উপহাস ?
জনগন চোখে দেখে বাঁশ।
তেল মাখে তেল বাঁজ।
সং সাজে বঙ্গরাজ।।



কেউ তেল মাখে।
খাটি শরিষার তেল।
কেউ চোখে শরিষার ফুল দেখে।



জীবনটাই তেলময়।
তেলবাঁজিতেই ব্যাস্ত সময়।।
তেলবাঁজিতেই কার্য সমাধান হয়।



কেউ দেখায় ভেল্কি।
জনগন খায় টাস্কি।
তেল ঘসাতেই জীবন পার
তেল দিয়ে গরব সুখী সংসার।