ঘুম থেকে জেগে দেখি তুমি নেই।
তুমি ছিলে না রাতেও,
তোমার কোন ঠিকানা ছিল না জানা।
জানা থাকলে আমিই চলে আসতাম।



তোমাকে দেখার স্বাদ ছিল মনে।
এখন সে স্বাদ ,
তিক্ত হয়ে গেছে।
নিম পাতার রসের মত।।



অসথের ডালে ,
যে অন্ধকার রাত্রি নেমেছিল।
সে অন্ধকারে তমালের ডালে বসেছিল যে ডাহুক
সেও কেঁদে কেঁদে খুঁজল তোমায়।


সাদা বকটি ডেকে ডেকে ,
ফিরেছিল নীরে।
সেও তোমাকে খোঁজল।।


তুমি নেই।
এখনো কত কিছুই নেই
কত কিছুর মায়া নেই।


কত স্বাদ বিস্বাদ হয়েছে।
এখনো হিজলের বনে ।
কত অজানা পাখি ভির করে ।
কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে বাতাসে।
পাখিদের কান্নার আওয়াজ।


অসথ গাছটা "
তমালের গাছ টাও কেঁদে কেঁদে ।
কান্না ভুলে গেছে।



তুমি নেই,
তাই দূরের বাঁশ বনে "
শুনি মাতমের সুর।



তুমি নেই "
দুঃখ সইতে না পেরে।
শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় ব্রহ্মপুত্র নদ।



এখন তার বুকে সেই যৌবন নেই।





তুমি নেই।
সব কিছু অসার।
শহরের রাস্তার কাকটা,
রোজ সকালে ডাকতো,
ঘুম ভাঙ্গাতো খুব ভোরে।
সেও এখন ডাকে না আগের মত।
কারন তুমি নেই।



কি এক ঘোরে বিভোর সব,
অজানা শান্তনা দেয় না কেউ।


এখন শুধুই প্রতিক্ষা।
রাতের পেঁচাটা বসে বসে দিন গুনে।
ডাকে সে রুক্ষ কণ্ঠে।
তিক্ষ ঝাঝালো সুরে।



রাতের গান গাওয়া পাখিদের দল।
ফিরে গেছে সেই কবে,
ফিরে গেছে গভীর জঙ্গলে।
ফিরে গেছে কেঁদে কেঁদে।
কারন তুমি নেই