তোমরা আমার আমার করো ।
নিজেকে খোঁজ না ।
জানো না তুমি কে


আমি যে খাতাতে কবিতা লেখি ,
সেটা আমার ছিল না ।
আমি সেখানে লিখতে যাই নি।
কলম তার মালিকানা আমাকে দেয় নি


তবু সে খাতাতে একটি কবিতা লিখেছি।
যদিও ভুলে ভরা ।
তবু সে গ্রহন করেছে আনন্দে।


খাতার মালিক কে ,
জানার সময় হয়নি ।
তবু নাম ছিল একটা ।


তাতে কি শূণ্য ছিল কিছু পাতা,
কিছু ছিল পেন্সিলের লেখাতে ভরা
আমি পেন্সিলের দাগ উঠিয়ে।
সেখানে কলম দিয়ে লিখেছি ।


হোক সেটা যার তার ।
লেখার সুযোগ ছাড়িনি।
ভাল মন্দ বিচার কে করে?
কি আছে তার প্রয়োজন?
একটা কবিতা লিখেছি ।
খাতার অনুমতি নিতে যাইনি ।



না অনুমতি ছিল খাতার মালিকের।
কিন্তু আশ্চর্য !
সেও আমাকে দেখে মুগ্ধ।
কবিতা টি তার মন কেরেছে।


বাহ ধন্য হয়েছে সে ।
আমি কিছুই ভাবিনি ।
এটাও এক প্রকার আজব খেলা ।




আমি যে ঘরে থাকি ,
সেটাও আমার নয়।
এই জমি অন্য কারো।
তবে নিজের মালিকানা দিয়ে কি করবো ?
যখন ভোগ আমিই করছি ।


মালিকানা টা মূখ্য নয়।
বরং সেটা একটা অত্যাচার ।
নিজের শান্ত মনের প্রতি।



ভোগ করেই যেখানে আনন্দ।
তখন কাগজে কলমে এক হলেই।
কবিতার খাতা আমার।


তারপর তুমি সেটা নিয়ে নিও।
তোমার মালিকানাতে ভাগ বসাবো না আমি
আমি খাতাটা ছিনিয়ে নিতে যাই নি,
বা বলিনি আমার লেখার খাতা নাই।
একটা খাতা চাই সেটাও বলিনি।
অনুগ্রহ চাইনি ।
বা চুরি করার অভ্যাস নেই।


আমি শক্তি প্রয়োগ করিনি ।
তুমিই দিয়েছো সুযোগ।
আমি শুধু ফায়দা লুটেছি।



'
তুমি পেন্সিলে লেখা শেষ করে ,
খাতা শেষ করেছিলে ।
আমি সেই স্থানকে প্রথমে উপযোগি করেছি।
তারপর লেখাতে দিয়েছি কলমের রক্ত।
হয়েছে একটি কবিতা ।


এখন তোমার সম্পদ তুমি নিতে পারো
তাতে বাধা নেই।
জেনে রেখো "
পেন্সিলের দাগ মুছতে পেরেছি।
কলমের দাগ আর মুছবে না।



সেটা করতে গেলে খাতাটা ছিড়তে হবে।
না হয় খাতাটাও ছিড়ে ফেললে।
বিক্রি করে দিলে দোকানে।
পুরোনো কাগজের সাথে।


কবিতাটি তো তোমার মনে আঁকা
সেটাকে সরিয়ে "
মনটা কি করে করবে ফাঁকা?
কি করে সেটার ছায়া সরাবে?


যে স্থান করে নিয়েছে অন্তরে।
মালিকানা দাবি তুমি করলে ,
আমি তা মেনেও নিলাম।
তোমার দাবি তোমার কাছেই আছে।


সম্পদ টাও তোমার ।
শুধু ফায়দা হল আমার ।
তুমিও ক্ষনিকের জন্য আমাতে হলে বিলীন।
তবে কে কার অধিকারি ?