মানুষ হওয়ার তীব্র বাসনা
আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়
দগ্ধ করে, করে ছাই ভস্ম
চাঁদ-সূর্যের নিরন্তর আবর্তনে
তীব্র থেকে তীব্রতর হয়
এই বিদগ্ধ আত্মার আর্তনাদ
বিবর্তন ধারায় হয়ে উঠে যা
আগ্নেয়গিরির রক্তিম লাভা
একাই জ্বলে নিরবে নিভৃতে
ঋতুর তাপমাত্রা উপেক্ষা করে
এ দহন চলে তারতম্য হীন
অনন্তর লোহিত স্রোত ধারা
নিরন্তর বয়ে চলে জলের মতো
হৃদপিণ্ড থেকে শিরায় শিরায়
যেথায় মুহূর্তে মুহূর্তে জন্মায়
অজস্র বিপ্লবী অগ্নি কণিকা।
কবে হবে বিপ্লব; সে তাড়না
নিয়ত মস্তিষ্কে হানে আঘাত
যে আঘাতে আজ চুর্ণ-বিচুর্ণ
আমার সমস্ত ভাবনা চিন্তা
অতঃপর এলোমেলো আমি
নিজেকে খুঁজে পাই একা
কোন এক বিচ্ছিন্ন নগরীতে
মানুষ ছেড়ে হায়েনার ভিড়ে
ছুটে চলা এক ক্লান্ত পথিক
জানিনা কবে হবো মানুষ
কবে পাবো মানুষের দৃক।