সেই কবে থেকে
সব বাঁধা পেরিয়ে একে বেঁকে
চলেছ এগিয়ে নিরন্তর
একদা মহাদেবের জটার মধ্যে
তুমি বেঁধেছিলে ঘর।
তুমি ভুলে গেছ পিছনে তাকানো
সম্মুখে ধাবমান
পাহাড়ী কন্যার মত নেচে নেচে
কুলকুল গাও গান।
ঝর্ণাধারারা হেথা হোথা এসে
তব বক্ষেতে মেশে
কুল,গোত্রের না করে বিচার
ঠাঁই দাও ভালবেসে।
কত মলিনতা বুকে বয়ে চল
তবু পবিত্রতায় খামতি নাই
উৎসর্গ করেছ নিজেরে পরের তরে
তোমার তুলনা নাই।
তোমার দুকূলে সবুজের সমারোহ
উদ্দাম যৌবন খেলা করে
আদিগন্ত প্রান্তর সেজেছে কোমল ছোঁয়ায়
তাতেই খুশিতে প্রাণ যেন উঠে ভরে।
যাদের জন্য তুমি এত ভাব
তারা তোমার বুকে চাবুক মারে, চালায় অত্যাচার
জীবনতৃষা মিটিয়ে এগিয়ে চল
দুহাত ভরে উজাড় করে শুধু দিয়ে যাও উপহার।
তুমি যুগ যুগ ধরে বয়ে চলেছ
চলার বিরাম নাই
প্রেরণা যুগিয়ে চলেছ নিরন্তর
জীবনরেখা নামে এখন তোমাকে চেনে সবাই।