...ও মাঝি ভাই !
যাচ্ছ কোথায়
অমন করে ধেয়ে?


চলছি আমি
বাড়ির পানে
হারাল পারের নেয়ে!


মেঘনা, তিতাস,
কুড়ল, হারাল,
কোথায় যেতে চাও?


হন-হনীয়ে
পৌঁচে দেবে
আমার পঙ্খী নাও।


না না ও ভাই
নয়কো আজি
অন্য বারে যাবো।


একটু সময়
দিলে তোমায়
দু’টি কথা কব।


দেবে আমার
খবরখানি পৌঁচে
তারে যেয়ে ?


যে, অধীর হয়ে
বসে থাকে
পথের পানে চেয়ে।


কপালপুড়া,
হতচ্ছাড়া
এস আমার কাছে,


কে আছে ভাই
আমার গাঁ-য়ে
এমনি তোমার যাচে ?


বল আমায়
কি করে ভাই
পাব তারে যেয়ে,


রাজকুমারি,
চিনবে তারে
হারাল পাড়ের মেয়ে।


নদীর মত
ঢেওয়ের তালে
হেলে দোলে চলে,


লতার মত
গড়ন যে তার,
ফুল করা লাল চুলে।


কোন পারে সে
থাকে ওগো,
কি-ই বা তার নাম ?


উত্তরে তার
বসত বাড়ি,
জানের নামে নাম।


নীল নয়না,
চাঁদের কনা,
সোনা গায়ের বরণ,


হলদে পাখির মত
যে তার
রাঙ্গা দুটি চরণ।


মায়া ভরা
চাহনি তার
হাসি ঠোঁটের কোনে,


কানেকানে
বলছি তোমায়
কেও না যেন শুনে।


আমার প্রিয়ের
এমনি সে রূপ,
আমি কেবল জানি,


ও মাঝিভাই
দাও নাগো তার
খবরখানা আনি।


হারাল/উরলঃ তিতাস নদীর একটি শাখা।
কুড়লঃ সোনাই নদীর একটি শাখা।
উভয় নদী এবং শাখা মোহনা সমূহে মিলিত হয়েছে।