শিশির কণা থেকে মেঘের ভেলা,
ডাঙ্গুটি শুরু করে ক্রিকেট খেলা,
সাথীদের কাকলিতে মুখর মাঠে,
চেয়ে দেখে অবিকল নুতন সবাই,
নিরাশায় গুঁটি পায় বাড়ি ফিরে যায়।


শিশুকাল ফুর ফুরে প্রজাপতি,
কিশোর নদী ঢেউয়ে মাতামাতি,
অনন্ত প্রাণ জাগা যুবক তখন -
প্রেয়সীর গান গাওয়া রঙিন স্বপন,
নেই সেই আলো তার ফুলেল হাওয়ায়।


মনের খবর নয় ঘরের বিপাক,
অবসরটুকু তাও জাঁতার খোরাক,
নীরস জীবনে টানা সময় চাকা,
স্বাদ-অবস্বাদে কার কিবা এসে যায়,
মনে এলে মনপুড়ে সেকি যাতনায়!  
  
না বলা কথার সেই বোবা কান্নায়,
পাটের সুতোটিও গিঁট লেগে যায়,
জীবনের এলোমেলো শেষের পাতায় -
লিখে রাখা নামখানি তাও মুছে যায়,
তবু মনে সে-মায়ার রেশ থেকে যায়।

বিনিদ্র রাতে দীপ-শিখার ধকল,
গিটারের তারগুলো লোহার শিকল,
দোয়াত কলমে আর ধরে না কালি,
রাতজাগা লিপিকার শেষের কলি -
পুড়াচোখে তিতা জল সেও দোল খায়।