বস্তুত তোমার সযত্নে দেয়া কষ্টের স্মৃতিগুলোই পড়ে আছে
আমার পরাভূত গাছতলায় উচ্ছিষ্ট ফলের ন্যায়;
আমার চলাফেরার সাথে তাদের ইদানীং হেরফের
যেন নিমজ্জিত অতলান্ত।
আমি সিগারেটের শেষাংশকে প্রথম ভেবে টেনে টেনে গিলে যাই,
ধূসর ধোয়ায় ভরে যায় সমস্ত ঘর, তোমার পদচিহ্ন
মিলিয়ে যায় ধোয়াহীন রক্তাক্ত রংধনুর উর্বর মগজে।
আমি প্রায়ই তোমাকে দেখতে পাই-
যুবক রোদ গায়ে দাঁড়িয়ে আছো বিনাশের বর্ম পরে,
আমাকে নিয়ে যাচ্ছো দাঁড়িয়ে থাকা বিমর্ষ মৃত্যুর দুয়ারে,
তাদের ব্যবস্ত্র আড্ডায় আমাকে প্রায়ই খাবার হিসেবে ছুড়ে মারো;
আমাকে তারা মজা করে খায় বার বার, হাজার বার
আর আমার কষ্টগুলো আস্তে আস্তে অমরত্বের দিকে হাঁটতে থাকে।
সেখানে তোমার কোন অস্তিত্ব কোথাও খুঁজে পাইনা,
তোমার বংশধরেরাও পালায় আমায় একা রেখে,
তোমার স্মৃতিরাই আমাকে খায়
আজকাল আমাকে নিশ্চিত বিচ্ছিন্ন আত্মা ডাকে
যার নাকের ডগায় মৃত্যুর গর্বিত লেজ, সৈনিকের যুদ্ধ যাত্রার ন্যায়;
তোমার নির্মমতারা আমার দিকে না তাকালেও
আমি টুটে যাই সূর্য ও লোকারণ্য পৃথিবীর অন্তরালে;
সেখানে তুমি নেই, দর্শক নেই, পৃথিবী নেই, দুঃখ নেই, কষ্ট নেই, মৃত্যুও নেই,
নেই দুঃস্বপ্নের বেওয়ারিশ চিৎকার;
তোমার করুণায় আমার কষ্টরা অমরত্ব লাভ করে।