এক অবর্ণ ঋতু ডাকে আমারে,
বেলা-অবেলা, কিংবা আধো রাতে,
বসন্ত না কালবৈশাখ বুঝি না তারে,
ধরিতে পারি না তারে, কেনই বা ডাকে
সেই স্বরে, সেই নামটি ধরে,
এক আবছা ললনার রক্ত ললাট হয়ে;


কখনও মায়া, কখনও ছায়া, কখনও সে আবছা,
কখনও ঝড়ে অকাল গ্রীষ্মের ধারায়;
যদি চাই ধরিতে আমি হই অবরুদ্ধ, সে যে পালায়,
যদি চাই এক পলক দেখিতে, সে হয় অদৃষ্ট,
আমি দৃষ্টিহীন; মন চায় কিছু বলিতে,
আমি হই বাকরুদ্ধ, সে কর্নহীন;


তবুও সেই স্নিগ্ধতা, মুখ লুকিয়ে ন্যুব্জ মনের প্রলুব্ধতা
তবে কেন অবর্ণ-আবছা, কে গো তুমি?


যুগের খেয়ায় লাল শালুকের কেতন,
তুমি কি এতটা ন্যুব্জ হওনি? যতটা হয়েছি আমি;
হারাওনি সেই কমলতা, দেহ-মনের উদ্যমতা?
নাকি বসন্তর ছোঁয়ায় শূন্য বুকে জেগে ওঠা-
গোলাবৃত্ত নিয়ে মেঠো পথে হাড়িয়ে যাওয়া এক কলকণ্ঠ।
সত্যি’ই কি তুমি এসেছো?


নাকি আমায় বিমুঢ় করতে শুধুই কাল্পনিকতা,
তবে কেন অপ্রকাশিত অগ্নীর আভা,


সামনে এসো; জানতে চাই কালের খেয়ায় নিষ্পেশিত নারী,
নাকি যৌবনের গ্রীষ্মে উদ্যম কোন ছুড়ি;
র্দীঘ অস্থিরতায় জেগে থাকতে পারি না আমি,
ঘুম হয়ে প্রকট হও এ অঙ্গে ওহে অচিন বসন্ত,
নাকি সময়ের রেখায় তুমি উদিয়মান কোন সুশান্ত;
না হইও অন্তরালে অকালের বৈশাখ,


যদি পারো বসন্তর আঁচল হয়ে নতুন জীবনের দিও ডাক।